০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে থাকবেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শিগগিরই সমাবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে, আশাবাদ ব্যক্ত করে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
সমাবেশ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আগামী ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির উদ্যোগে একটি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’
‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশ ও গণপূর্ত কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১২ নভেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আর সেই লক্ষ্যেই আজকের এই যৌথসভা।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি আমরা এখনো পাইনি। আমরা আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে এবং সহযোগিতা করবে।’
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রথমে ৮ নভেম্বর সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পরে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের কারণে তা পরিবর্তন করে ১১ নভেম্বর করা হয়। সবশেষ তৃতীয়বারের মতো পরিবর্তন করে ১২ নভেম্বর স্থির করা হয়।
সরকার ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করতে দেয়নি বলেও এ সময় অভিযোগ করেন মির্জা আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর ৭ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছি। কিন্তু বর্তমান শাসকদল নানা অযুহাতে আমাদেরকে সেই দিবসটি এবার পালন করতে দেয়নি। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে দেয়নি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।

ট্যাগ :

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া

প্রকাশিত : ০৪:১০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে থাকবেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শিগগিরই সমাবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে, আশাবাদ ব্যক্ত করে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
সমাবেশ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আগামী ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির উদ্যোগে একটি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’
‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশ ও গণপূর্ত কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১২ নভেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আর সেই লক্ষ্যেই আজকের এই যৌথসভা।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি আমরা এখনো পাইনি। আমরা আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে এবং সহযোগিতা করবে।’
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রথমে ৮ নভেম্বর সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পরে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের কারণে তা পরিবর্তন করে ১১ নভেম্বর করা হয়। সবশেষ তৃতীয়বারের মতো পরিবর্তন করে ১২ নভেম্বর স্থির করা হয়।
সরকার ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করতে দেয়নি বলেও এ সময় অভিযোগ করেন মির্জা আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর ৭ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছি। কিন্তু বর্তমান শাসকদল নানা অযুহাতে আমাদেরকে সেই দিবসটি এবার পালন করতে দেয়নি। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে দেয়নি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।