০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ইসির নিবন্ধন চায় ১৯৯ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা

নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদনের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবার ১৯৯টি সংস্থা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
তিনি জানান, ১৯৯টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। নিবন্ধন পেতে হলে পর্যবেক্ষক সংস্থার যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেগুলো তারা পূরণ করতে পেরেছে কিনা তা এখন যাচাই-বাছাই করা হবে। যারা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবে তাদেরটা বাতিল করে দেওয়া হবে।
আশাদুল হক বলেন, যাচাই-বাছাই শেষ হলে যাদের আবেদন ঠিক থাকবে, তাদের নামের তালিকা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কারো কোনো আপত্তি আছে কি না তা জানতে চাওয়া হবে।
তিনি জানান, এরপর কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি পাওয়া গেলে তার শুনানি হবে। এরপরই কমিশন নিবন্ধনের জন্য পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম চূড়ান্ত করবে।
এরআগে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ছিল ১২০টি। এসব সংস্থা ২০১১ সালে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। ওই নিবন্ধনের মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন পর্যন্ত।
কমিশন নতুন করে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য আগ্রহী সংস্থাসমূহের কাছে গত ২৩ অক্টোবর দরখাস্ত আহ্বান করে। এছাড়া এ বিষয়ে আগের নীতিমালা সংশোধন করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নতুন নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়।
ইসি সূত্র জানা গেছে, এবার নাম সর্বস্ব কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এজন্য নীতিমালায় কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।
এ নীতিমালা অনুসারে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং যাদের নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রের মধ্যে এইসব বিষয়সহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধ করণের অঙ্গীকার রয়েছে, শুধুমাত্র সেইসব বেসরকারি সংস্থাই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হওয়ায় অগ্রধিকার পাবে।
এছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করা সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনের প্রার্থী হতে আগ্রহী ব্যক্তির সংস্থাও এবারে নিবন্ধন পাবে না।
ইসি সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আরপিও-১৯৭২ সংশোধন করে প্রথমবারের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষক নীতিমালাও তৈরি করা হয়।

ট্যাগ :

ইসির নিবন্ধন চায় ১৯৯ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা

প্রকাশিত : ০৬:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭

নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদনের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবার ১৯৯টি সংস্থা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
তিনি জানান, ১৯৯টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। নিবন্ধন পেতে হলে পর্যবেক্ষক সংস্থার যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেগুলো তারা পূরণ করতে পেরেছে কিনা তা এখন যাচাই-বাছাই করা হবে। যারা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবে তাদেরটা বাতিল করে দেওয়া হবে।
আশাদুল হক বলেন, যাচাই-বাছাই শেষ হলে যাদের আবেদন ঠিক থাকবে, তাদের নামের তালিকা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কারো কোনো আপত্তি আছে কি না তা জানতে চাওয়া হবে।
তিনি জানান, এরপর কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি পাওয়া গেলে তার শুনানি হবে। এরপরই কমিশন নিবন্ধনের জন্য পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম চূড়ান্ত করবে।
এরআগে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ছিল ১২০টি। এসব সংস্থা ২০১১ সালে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। ওই নিবন্ধনের মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন পর্যন্ত।
কমিশন নতুন করে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য আগ্রহী সংস্থাসমূহের কাছে গত ২৩ অক্টোবর দরখাস্ত আহ্বান করে। এছাড়া এ বিষয়ে আগের নীতিমালা সংশোধন করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নতুন নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়।
ইসি সূত্র জানা গেছে, এবার নাম সর্বস্ব কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এজন্য নীতিমালায় কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।
এ নীতিমালা অনুসারে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং যাদের নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রের মধ্যে এইসব বিষয়সহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধ করণের অঙ্গীকার রয়েছে, শুধুমাত্র সেইসব বেসরকারি সংস্থাই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হওয়ায় অগ্রধিকার পাবে।
এছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করা সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনের প্রার্থী হতে আগ্রহী ব্যক্তির সংস্থাও এবারে নিবন্ধন পাবে না।
ইসি সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আরপিও-১৯৭২ সংশোধন করে প্রথমবারের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষক নীতিমালাও তৈরি করা হয়।