পর্যাপ্ত সরবরাহ ও নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করায় রমজানে সব ধরনের চালের দাম কমবে। বর্তমানে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং কয়েকদিনের মধ্যে সব ধরনের চালের দাম কমবে। রাজধানীর মিরপুর, কচুক্ষেত ও কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা এ তথ্য জানান।
এ ব্যাপারে মেসার্স মামুন রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী হারুন-অর-রশিদ বলেন, প্রতিবছরই রমজান আসলে চালের চাহিদা কমে যায়। রমজানে লোকজন ভাত কম খায়। এছাড়া নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই আগামী সপ্তাহ থেকে চালের দাম কমবে।
রমজানে চালের দাম কেজি প্রতি দুই থেকে চার টাকা কমবে উল্লেখ করে মিরপুর ১নং সেকশনের মদিনা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বাপ্পি বলেন, নতুন চাল বাজারে আসছে। এতে করে পাইকারি বাজারে বস্তা প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমে যাবে। তাই রমজানে চালের দাম কমবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ২৮ চাল প্রতি বস্তা এক হাজার ৭০০ টাকা, মিনিকেট নতুন চাল দুই হাজার ২০০ টাকা বস্তা এবং পুরানটা দুই হাজার ৪০০ টাকা, স্বর্ণা ৫০ কেজির বস্তা এক হাজার ৩৮০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গুটি চাল এক হাজার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পোলাওয়ের চাল প্রকারভেদে তিন হাজার ৯০০ টাকা থেকে চার হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা মোকামে দাম না বাড়লে, দাম বাড়াই না। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম কমালেও অনেক সময় তারা দাম না কমিয়ে বাড়তি দামেই চাল বিক্রি করতে থাকেন।
এদিকে, কচুক্ষেত বাজারের রজনীগন্ধা মার্কেটের পাইকারি চাল বিক্রেতা মেসার্স রামগঞ্জ ট্রেডার্সের কাজী সরোয়ার হোসেন বলেন, রমজানে দাম বাড়বে না, বরং চাহিদা কম থাকায় চালের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, এখনও নতুন চাল বাজারে পুরোদমে আসেনি। পুরানো চাল আরও মাসখানেক চলবে। এরমধ্যে নতুন চাল বাজারে আসলে, অতিদ্রুতই দাম কমবে।
বিবি/জেজে
























