০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কৃষকদের ঠেকাতে ৫০ হাজার নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে শনিবার নতুন করে জড়ো হয়েছেন কৃষকরা। প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলের ১০ দিন পর এবার তারা তিন ঘণ্টার চাক্কা জ্যাম (রাস্তা বন্ধ) পালন করছে। ধীরে ধীরে এই আন্দোলন পুরো দেশে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়ার চিন্তা করছে না। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি চায় না কোনো পক্ষই। কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের আশঙ্কা, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভণ্ডুলের চেষ্টা করা হতে পারে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এই কর্মসূচি ঘিরে যেন সহিংসতা ছড়াতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখছে দিল্লি পুলিশ। ইতোমধ্যেই দিল্লির উপকণ্ঠে ৫০ হাজার নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোন এবং জল কামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে শনিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজ্য সড়কে এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং রাজধানী দিল্লি ও এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ‘চাক্কা জ্যাম’ করা হবে না। যদিও দিল্লিমুখী যেসব রাস্তায় কয়েক মাস ধরে অবরোধ চলছে, সেগুলো ছাড়া বাকি রাস্তা খোলা থাকবে। ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ তিকাইত বলেন, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে চাক্কা জ্যাম হবে না। এছাড়া দিল্লি বাদে দেশের সব রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করা হবে। তবে যে কোনো সময় দিল্লিতে অবরোধ ডাকা হতে পারে। এর প্রস্তুতিও নেয়া আছে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা এবং শক্ত ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। দিল্লির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভের স্থান সিংঘু, তিকরি এবং গাজিপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গাজিপুরে জল কামানের গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লি-এসিআর এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ, প্যারামিলিটারি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কমপক্ষে ১২টি মেট্রো স্টেশনে সতর্ক অবস্থা জারি করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার অলোক কুমার বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দু’মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার কৃষক। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাস হওয়া কৃষক আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তারা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুরের মৃত্যু, গাছেই ঝুলছিল ম’র’দে’হ

কৃষকদের ঠেকাতে ৫০ হাজার নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন

প্রকাশিত : ১২:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে শনিবার নতুন করে জড়ো হয়েছেন কৃষকরা। প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলের ১০ দিন পর এবার তারা তিন ঘণ্টার চাক্কা জ্যাম (রাস্তা বন্ধ) পালন করছে। ধীরে ধীরে এই আন্দোলন পুরো দেশে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়ার চিন্তা করছে না। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি চায় না কোনো পক্ষই। কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের আশঙ্কা, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভণ্ডুলের চেষ্টা করা হতে পারে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এই কর্মসূচি ঘিরে যেন সহিংসতা ছড়াতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখছে দিল্লি পুলিশ। ইতোমধ্যেই দিল্লির উপকণ্ঠে ৫০ হাজার নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোন এবং জল কামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে শনিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজ্য সড়কে এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং রাজধানী দিল্লি ও এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ‘চাক্কা জ্যাম’ করা হবে না। যদিও দিল্লিমুখী যেসব রাস্তায় কয়েক মাস ধরে অবরোধ চলছে, সেগুলো ছাড়া বাকি রাস্তা খোলা থাকবে। ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ তিকাইত বলেন, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে চাক্কা জ্যাম হবে না। এছাড়া দিল্লি বাদে দেশের সব রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করা হবে। তবে যে কোনো সময় দিল্লিতে অবরোধ ডাকা হতে পারে। এর প্রস্তুতিও নেয়া আছে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা এবং শক্ত ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। দিল্লির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভের স্থান সিংঘু, তিকরি এবং গাজিপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গাজিপুরে জল কামানের গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লি-এসিআর এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ, প্যারামিলিটারি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কমপক্ষে ১২টি মেট্রো স্টেশনে সতর্ক অবস্থা জারি করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার অলোক কুমার বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দু’মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার কৃষক। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাস হওয়া কৃষক আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তারা।