০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রিজার্ভে ৪৪ বিলিয়ন ডলার মাইলফলকের পথে দেশ

  • শেখ লিমন
  • প্রকাশিত : ১২:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • 21

চলতি মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে অবস্থান করছে রিজার্ভের স্থিতি। এই রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের দশ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মত ৪৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর তা ৪২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আকুর বিল পরিশোধ করার কারণে রিজার্ভ কমে গেলেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ভর করে এক মাসের আগেই রিজার্ভ আবার ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করল। আকুর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে। তার আগে রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে যাবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। কারণ, গত ৭ মাস ধরে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসছে। সেই হিসেবে ফেব্রুয়ারি মাসেই রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভে ছিল ৩২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। মহামারীর মধ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে, যা গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। সবমিলিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় বহিস্কৃত যুবদলের দুই নেতা, নিহত জুবায়ের যুবলীগের কর্মী

রিজার্ভে ৪৪ বিলিয়ন ডলার মাইলফলকের পথে দেশ

প্রকাশিত : ১২:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

চলতি মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে অবস্থান করছে রিজার্ভের স্থিতি। এই রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের দশ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মত ৪৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর তা ৪২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আকুর বিল পরিশোধ করার কারণে রিজার্ভ কমে গেলেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ভর করে এক মাসের আগেই রিজার্ভ আবার ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করল। আকুর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে। তার আগে রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে যাবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। কারণ, গত ৭ মাস ধরে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসছে। সেই হিসেবে ফেব্রুয়ারি মাসেই রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভে ছিল ৩২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। মহামারীর মধ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে, যা গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। সবমিলিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।