আগামী ২০৩২ সালের মধ্যেই বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৪১তম।
যে হারে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে তাতে আগামী ১৫ বছর ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি যোগাযোগ প্রযুক্তি, জ্বালানির অবকাঠামোর দ্রুত উন্নয়ন করতে হবে।
সেন্টার ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি এই তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি মূলত জিডিপির আকার বিবেচনায় এনে অর্থনীতির মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে আগামী ২০৩৩ সাল নাগাদ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে দেবে বাংলাদেশ।
উপরোল্লিখিত বিষয়ের মধ্যে যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামোর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো শক্তিশালী করতে দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। আর দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি ৫জি চালু করা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫জি প্রযুক্তি চালুর পর অর্থনীতিতে এর প্রভাব নিয়ে একাধিক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও বাংলাদেশ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি।
তবে এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫জি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা গেলে এটি চালুর পর দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এক শতাংশ বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
৫জি নেটওয়ার্কে শুধু সাধারণ ব্রাউজিং/স্ট্রিমিং বা সামাজিক নেটওয়ার্কিং ডেটা সক্ষমতা বৃদ্ধিই করবে না বরং ডেটা পরিষেবাগুলির বৃহত্তর উপযোগিতার মাধ্যমে শিল্প খাতে নতুন নতুন সেবা ও পরিচালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান