আগামী মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে ৬টি নির্বাচন। ইতোমধ্যে তফসিলও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের নির্বাচন হবে ২১শে মার্চ। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ। এর মধ্যে চসিক ও ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচন হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আর বাকি ৪ আসনের নির্বাচন হবে ব্যালটে।
২১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ৩টি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নাম চুড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। সেখানে এখনো পিছিয়ে রয়েছে বিএনপি। তারা এখনো তাদের প্রার্থী চুড়ান্ত করেনি।
এই লক্ষে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার পর থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম দেয়া শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ফরম কিনতে শরু করেছেন ইতোমধ্যেই।
প্রার্থী নির্বাচনের জন্য সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ডেকেছে বিএনপি। এসময় তাঁদের সাক্ষাৎকার নেবে দলের সংসদীয় বোর্ড।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী চুড়ান্ত করতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক হবে। সেখানে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘নির্বাচনে যারা প্রার্থী হতে চান দলের সংসদীয় বোর্ড তাদের সাক্ষাতকার নিবেন। এরপর দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে।’
জানা যায়, লন্ডনের নির্দেশনা থাকায় ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম রবি ছাড়া কেউ মনোনয়ন ফরম কেনেন নি। একক প্রার্থী হিসেবে এ আসনে তিনিই ধানের শীষ পেতে যাচ্ছেন।
বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, ‘তিন আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আটজন। ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন শেখ রবিউল আলম রবি। বাগেরহাট-৪ আসনে ফরম নিয়েছেন চারজন। তারা হলেন- ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মনিরুল হক ফরাজী, কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও অ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা।
এছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ডা. মাইনুল হাসান সাদিক, রফিকুল ইসলাম ও ড. মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা-১০ আসনের একক প্রার্থী ধানমন্ডি থানা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি আগামীনিউজ ডটকমকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৭ বছর বিএনপির সঙ্গে আছি। আমি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চাই। তাই এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ফরম কিনেছি। পরে জেনেছি আমি ছাড়া কেউ ফরম উঠায় নি। সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকেছেস সংসদীয় বোর্ড। আশা করছি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাট-৪ আসনে তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়ন পাবার সম্ভবনা বেশি। এ প্রসঙ্গে মনির বলেন, ‘বাগেরহাট-৪ আসনে দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আশা করি ধানের শীষ জয়ী হবে।’
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন ডা. মইনুল হাসান সাদিক এমনটাই জানা গেছে দলীয় সূত্রে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রায় চুড়ান্ত বলে জানা গেছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চান।
যশোর-৬ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবুল হোসেন আজাদ ও বগুড়া-১ আসনে কাজী রফিকুল ইসলাম। এবারো তাদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলীর মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৩ ও ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে বাগেরহাট-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন শেখ ফজলে নূর তাপস। এজন্য ঢাকা-১০ আসনটিও শূন্য ঘোষণা করা হয়। এদিকে গত ২১ জানুয়ারি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এছাড়া ১৮ জানুয়ারি বগুড়া-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। রোজা ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় বিবেচনা করে এই ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

























