অবশেষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ তরুন ব্যবসায়ী আদম তমিজি হককে মনোনয়ন দিচ্ছে। জানা গেছে, সরকারের কয়েকজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্টজনরা ইতিমধ্যেই আদম তমিজি হককে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তারা তাকে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সবুজ সংকেত পেয়ে আদম তমিজি হক তার নির্বাচনী ইশতেহার তৈরিসহ সার্বিক নির্বাচনী প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে আদম তমিজি হক নির্বাচনীকে সামনে রেখে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কি কি করবেন তার জন্যও হোমওর্য়াক শুরু করেছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এখনও দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের মৃর্ত্যুতে মেয়র পদটি শূণ্য ঘোষণা করা হয়। ওই শূণ্য আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনিসুল হক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ডজনখানেক প্রার্থীর নাম আলোচিত হচ্ছে। এর মধ্যে আদম তমিজি হক ও রয়েছেন প্রথম সারিতে। এ সম্পর্কে আদম তমিজি হক বলেন,
ঢাকা শহর আমার শিকড়, এ শহরের মা- মাটি- মানুষের স্নেহ ভালোবাসায় আমি একটু একটু করে বড় হয়েছি,এ শহরের বাতাস আমাকে নিঃশ্বাস যোগিয়েছে,আকাশ দেখিয়েছে স্বপ্ন, এ ইট পাথর শহরের মানুষগুলোর সরলতা আমার বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা, এশহরের মাটি ও মানুষের তরে জীবন উৎসর্গ করার মাধ্যমেই জীবন পরিপূর্ণতা পাবে বলে আমি মনে করি।

এ নেতা আরো বলেন, এম,পি. মন্ত্রী ও মেয়র আল্লাহতা’লা কপালে লিখে থাকলে একদিন হলে হতেও পারি – এটা দলের হাইকমান্ডের বিষয়। একজন রাজনৈতিক কর্মীর ক্ষেত্রে নেতা হওয়া বা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নয়,মানুষকে ভালোবেসে জনকল্যাণে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে উজাড় করে দেয়াই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার মূল রাজনৈতিক দর্শন – তাঁর প্রতি সম্পূর্ন আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে, ঢাকা উত্তরের সন্তান হিসেবে আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের পাশে থেকেই বাঁচতে চাই, মরতেও চাই ।