০১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল প্রতিদিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচরের নীচে পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এরফলে আসন্ন বন্যা মৌসুমে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ। সেই সাথে ধ্বস নামার সম্ভাবনা রয়েছে ফিলিপনগর-ইসলামপুর ব্লক দিয়ে নির্মিত স্থায়ী বাঁধের। এলাকাবাসী জানায়, বৈরাগীরচর এলাকার হাম্বার খা, নাসির উদ্দিন মেম্বর, শাহীন আলী, মহিদুল মোল্লা ও শামীম হোসেন এবং হাটখোলাপাড়ার রাজা ও একসময়ের চরাঞ্চলের ত্রাস লালচাঁদ বাহিনীর ক্যাডার উজ¦লসহ ২০-২৫ জন স্থানীয় প্রভাবশালী ও সরকার দলীয় লোকজন বৈরাগীরচরের আবু বক্কর হাজীর বাড়ির নীচে, বৈরাগীরচর বাজার সংলগ্ন ও ভাদু শাহ মাজার সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালি অবৈধভাবে উত্তোলন করে চলেছে। অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হলে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের নিষেধ ও সতর্ক করেন। প্রশাসনের নিষেধ ও সতর্কতা অমান্য করে ওই প্রভাবশালী মহল পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ অব্যাহত রেখেছে। ট্রলি প্রতি ২০০ টাকা চাঁদা নিয়ে ওই প্রভাবশালী মহল প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালি উত্তোলন করে থাকে। এতে প্রতি মাসে কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা ট্রলি প্রতি চাঁদা আদায় করে থাকে ওই প্রভাবশালী মহল। বালি উত্তোলনের বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই তাদের বিরুদ্ধে নেমে আসে জুলুম ও অত্যাচারের খড়গ এবং দেওয়া হয় নানা ধরনের হুমকি ধুমকী।

বালি উত্তোলনের চাঁদা আদায়কারী ওই মহল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা বালি উত্তোলন করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন। তবে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও থেমে নেই ওই প্রভাবশালী মহলের অবৈধভাবে পদ্মা নদীর তীরবর্তী ও বসতী এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোনের কাজ। করোনা পরিস্থিতির কারনে প্রশাসনের অভিযান তেমন না হওয়ার কারনে বালি উত্তোলনকারী ওই মহলটি অবাধে ও নির্বিঘেœ বালি উত্তোলনের কাজটি করে যাচ্ছে । এদিকে নদী তীরবর্তী ভূক্তভোগী এলাকাবাসী অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

প্রকাশিত : ০৪:০৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল প্রতিদিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচরের নীচে পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এরফলে আসন্ন বন্যা মৌসুমে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ। সেই সাথে ধ্বস নামার সম্ভাবনা রয়েছে ফিলিপনগর-ইসলামপুর ব্লক দিয়ে নির্মিত স্থায়ী বাঁধের। এলাকাবাসী জানায়, বৈরাগীরচর এলাকার হাম্বার খা, নাসির উদ্দিন মেম্বর, শাহীন আলী, মহিদুল মোল্লা ও শামীম হোসেন এবং হাটখোলাপাড়ার রাজা ও একসময়ের চরাঞ্চলের ত্রাস লালচাঁদ বাহিনীর ক্যাডার উজ¦লসহ ২০-২৫ জন স্থানীয় প্রভাবশালী ও সরকার দলীয় লোকজন বৈরাগীরচরের আবু বক্কর হাজীর বাড়ির নীচে, বৈরাগীরচর বাজার সংলগ্ন ও ভাদু শাহ মাজার সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালি অবৈধভাবে উত্তোলন করে চলেছে। অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হলে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের নিষেধ ও সতর্ক করেন। প্রশাসনের নিষেধ ও সতর্কতা অমান্য করে ওই প্রভাবশালী মহল পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ অব্যাহত রেখেছে। ট্রলি প্রতি ২০০ টাকা চাঁদা নিয়ে ওই প্রভাবশালী মহল প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালি উত্তোলন করে থাকে। এতে প্রতি মাসে কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা ট্রলি প্রতি চাঁদা আদায় করে থাকে ওই প্রভাবশালী মহল। বালি উত্তোলনের বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই তাদের বিরুদ্ধে নেমে আসে জুলুম ও অত্যাচারের খড়গ এবং দেওয়া হয় নানা ধরনের হুমকি ধুমকী।

বালি উত্তোলনের চাঁদা আদায়কারী ওই মহল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা বালি উত্তোলন করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন। তবে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও থেমে নেই ওই প্রভাবশালী মহলের অবৈধভাবে পদ্মা নদীর তীরবর্তী ও বসতী এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোনের কাজ। করোনা পরিস্থিতির কারনে প্রশাসনের অভিযান তেমন না হওয়ার কারনে বালি উত্তোলনকারী ওই মহলটি অবাধে ও নির্বিঘেœ বালি উত্তোলনের কাজটি করে যাচ্ছে । এদিকে নদী তীরবর্তী ভূক্তভোগী এলাকাবাসী অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ