০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

যেভাবে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন নির্ধারিত হবে

দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে জোনভিত্তিক লকডাউনের অংশ হিসেবে এলাকা নির্ধারণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। লকডাউন কার্যকরে ইতোমধ্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই গাইডলাইনে লাল, ইয়েলো এবং সবুজ এলাকা নির্ধারণের নীতিমালার কথা বলা হয়েছে। রবিবার (১৪ জুন) এই গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইনে বলা হয়, তিন পদ্ধতিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা যাবে।

১) প্রাথমিক নির্দেশক হিসেবে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে কতজন করোনা পজিটিভ রোগী চিহ্নিত হয়েছে।

২) দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক নির্দেশক হচ্ছে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কেসের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার, রোগের লক্ষণ ভিত্তিক নজরদারি, অভ্যন্তরীণ অধিক সঞ্চরণশীলতা, অধিক দারিদ্র, খাবারের অপ্রতুলতা, নমুনা পজিটিভের হার (মোট পরীক্ষিত নমুনার মধ্যে কত শতাংশ পজিটিভ), পরীক্ষিত নমুনার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব (স্যাম্পল সংগ্রহের পর কতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া এবং শনাক্ত করা হচ্ছে এবং পরীক্ষার পর্যাপ্ততা।

৩) এছাড়া কোন অঞ্চলসমূহ অঞ্চলায়নের অন্তর্ভুক্ত হবে সেই বিষয়ে গাইডলাইনে বলা হয়- বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, মহানগরী, ওয়ার্ড, মহল্লা সকল কিছু এই অঞ্চলায়নের অন্তর্ভূক্ত হবে। এই অঞ্চলায়নের সময় মহানগরীগুলোর ক্ষেত্রে, ই পি আই এলাকা বা অন্য কোন সহজ পদ্ধতি [আকৃতিগত, প্রকৃতিগত অথবা সুবিধামত সীমানা] ব্যবহার করা হবে যাতে করে অঞ্চলগুলোকে সুনির্দিষ্ট করা যায়।

যেভাবে রেড জোন নির্ধারণ করা হবে

শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৬০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে সেই এলাকা রেড জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ১০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা রেড জোন হিসেবে গণ্য হবে।

যেভাবে ইয়েলো জোন নির্ধারণ করা হবে

ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৩-৫৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ৩-৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে গণ্য হবে।

যেভাবে গ্রিন জোন নির্ধারণ করা হবে

স্বাস্থ্য অধিদফতর রেড এবং ইয়েলো জোনের বাইরে দেশের বাকি ভৌগলিক অংশকে গ্রিন বা সবুজ জোন বলছে। এখানে ২ ধরণের এলাকা আছে। যে সকল এলাকায় জোনিং এর শুরু থেকে কোন কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং যে সব এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৩ জনের কম সংখ্যক ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে- একটি এলাকা রেড জোন হিসেবে ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পর তা পরবর্তীতে ইয়েলো জোনের শর্ত পূরণ করলেও ইয়েলো জোনে রূপান্তরিত হওয়ার আগে কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ রেড জোন হিসেবেই থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল গ্রুপ প্রতি সপ্তাহে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে জোনিংয়ের পরিবর্তনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। এছাড়া এই গ্রুপ যেসব বিষয় নির্ধারণ করবে তার মধ্যে আছে- কোন কোন এলাকাগুলোকে জোনিং করা হবে এবং ইয়েলো জোন হতে রেড জোন অথবা গ্রিন জোন হতে ইয়েলো জোনে পরিণত করা হবে।

জোনিংয়ের নির্দেশনায় স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে- এই অঞ্চল ভিত্তিক রঙ পরিবর্তনের সময় অবশ্যই পূর্ববর্তী ১৪ দিনের ডাটা পর্যালোচনা করতে হবে। কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল গ্রুপ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা, বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় বিবেচনায় এনে জোনিংয়ের নীতিমালা নির্ধারণ করবেন। নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমগুলো পরিচালনার জন্য প্রতি এলাকা ভিত্তিক লোকাল কোভিড-১৯ কমিটি গঠন করা হবে।

সব ধরনের জোন এর জন্যেই একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠিত হবে যারা নিয়মিতভাবে স্থানীয় অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তাদের প্রাপ্ত তথ্যগুলো স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানাবেন। সে সব তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় কমিটি উক্ত জোনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

যেভাবে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন নির্ধারিত হবে

প্রকাশিত : ০৭:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে জোনভিত্তিক লকডাউনের অংশ হিসেবে এলাকা নির্ধারণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। লকডাউন কার্যকরে ইতোমধ্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই গাইডলাইনে লাল, ইয়েলো এবং সবুজ এলাকা নির্ধারণের নীতিমালার কথা বলা হয়েছে। রবিবার (১৪ জুন) এই গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইনে বলা হয়, তিন পদ্ধতিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা যাবে।

১) প্রাথমিক নির্দেশক হিসেবে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে কতজন করোনা পজিটিভ রোগী চিহ্নিত হয়েছে।

২) দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক নির্দেশক হচ্ছে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কেসের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার, রোগের লক্ষণ ভিত্তিক নজরদারি, অভ্যন্তরীণ অধিক সঞ্চরণশীলতা, অধিক দারিদ্র, খাবারের অপ্রতুলতা, নমুনা পজিটিভের হার (মোট পরীক্ষিত নমুনার মধ্যে কত শতাংশ পজিটিভ), পরীক্ষিত নমুনার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব (স্যাম্পল সংগ্রহের পর কতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া এবং শনাক্ত করা হচ্ছে এবং পরীক্ষার পর্যাপ্ততা।

৩) এছাড়া কোন অঞ্চলসমূহ অঞ্চলায়নের অন্তর্ভুক্ত হবে সেই বিষয়ে গাইডলাইনে বলা হয়- বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, মহানগরী, ওয়ার্ড, মহল্লা সকল কিছু এই অঞ্চলায়নের অন্তর্ভূক্ত হবে। এই অঞ্চলায়নের সময় মহানগরীগুলোর ক্ষেত্রে, ই পি আই এলাকা বা অন্য কোন সহজ পদ্ধতি [আকৃতিগত, প্রকৃতিগত অথবা সুবিধামত সীমানা] ব্যবহার করা হবে যাতে করে অঞ্চলগুলোকে সুনির্দিষ্ট করা যায়।

যেভাবে রেড জোন নির্ধারণ করা হবে

শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৬০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে সেই এলাকা রেড জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ১০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা রেড জোন হিসেবে গণ্য হবে।

যেভাবে ইয়েলো জোন নির্ধারণ করা হবে

ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৩-৫৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ৩-৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে গণ্য হবে।

যেভাবে গ্রিন জোন নির্ধারণ করা হবে

স্বাস্থ্য অধিদফতর রেড এবং ইয়েলো জোনের বাইরে দেশের বাকি ভৌগলিক অংশকে গ্রিন বা সবুজ জোন বলছে। এখানে ২ ধরণের এলাকা আছে। যে সকল এলাকায় জোনিং এর শুরু থেকে কোন কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং যে সব এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৩ জনের কম সংখ্যক ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে- একটি এলাকা রেড জোন হিসেবে ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পর তা পরবর্তীতে ইয়েলো জোনের শর্ত পূরণ করলেও ইয়েলো জোনে রূপান্তরিত হওয়ার আগে কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ রেড জোন হিসেবেই থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল গ্রুপ প্রতি সপ্তাহে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে জোনিংয়ের পরিবর্তনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। এছাড়া এই গ্রুপ যেসব বিষয় নির্ধারণ করবে তার মধ্যে আছে- কোন কোন এলাকাগুলোকে জোনিং করা হবে এবং ইয়েলো জোন হতে রেড জোন অথবা গ্রিন জোন হতে ইয়েলো জোনে পরিণত করা হবে।

জোনিংয়ের নির্দেশনায় স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে- এই অঞ্চল ভিত্তিক রঙ পরিবর্তনের সময় অবশ্যই পূর্ববর্তী ১৪ দিনের ডাটা পর্যালোচনা করতে হবে। কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল গ্রুপ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা, বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় বিবেচনায় এনে জোনিংয়ের নীতিমালা নির্ধারণ করবেন। নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমগুলো পরিচালনার জন্য প্রতি এলাকা ভিত্তিক লোকাল কোভিড-১৯ কমিটি গঠন করা হবে।

সব ধরনের জোন এর জন্যেই একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠিত হবে যারা নিয়মিতভাবে স্থানীয় অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তাদের প্রাপ্ত তথ্যগুলো স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানাবেন। সে সব তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় কমিটি উক্ত জোনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর