০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

এমপি পাপুলের ১৪০ কোটি টাকা জব্দ

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শহীদ ইসলাম ওরফে কাজী পাপুল

মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুল এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ফ্রিজ করতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর।

সন্দেহভাজন ওই অর্থ যাতে তোলা বা স্থানান্তর করা না যায় এবং আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে সেগুলো যেন বাজেয়াপ্ত করা যায়, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন

কুয়েতের প্রভাবশালী পত্রিকা আরব টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যাতে ওই অর্থ অন্য কোথাও পাচার না হতে পারে। এছাড়া সরকারের কৌঁসুলিরা মনে করছেন পরবর্তীতে এটা মামলার প্রমাণ হিসেবে তাদের জন্য জরুরি।

এদিকে, কুয়েত সরকারের তিন কর্মকর্তা পাপুল মামলায় সরকারি কৌঁসুলির কাছে স্টেটমেন্ট দিয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন ম্যানপাওয়ার কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এবং একজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।

এখন পর্যন্ত তদন্তে পাওয়া গেছে, পাপুল প্রতি বছর ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতো।

এ মাসের প্রথম সপ্তাহে মানবপাচার, ভিসা বাণিজ্য ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত অপরাধে পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে তিনি মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারা সহায়তা করেছে ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের জন্য।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

এমপি পাপুলের ১৪০ কোটি টাকা জব্দ

প্রকাশিত : ০৭:৫২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০

মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুল এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ফ্রিজ করতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর।

সন্দেহভাজন ওই অর্থ যাতে তোলা বা স্থানান্তর করা না যায় এবং আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে সেগুলো যেন বাজেয়াপ্ত করা যায়, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন

কুয়েতের প্রভাবশালী পত্রিকা আরব টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যাতে ওই অর্থ অন্য কোথাও পাচার না হতে পারে। এছাড়া সরকারের কৌঁসুলিরা মনে করছেন পরবর্তীতে এটা মামলার প্রমাণ হিসেবে তাদের জন্য জরুরি।

এদিকে, কুয়েত সরকারের তিন কর্মকর্তা পাপুল মামলায় সরকারি কৌঁসুলির কাছে স্টেটমেন্ট দিয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন ম্যানপাওয়ার কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এবং একজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।

এখন পর্যন্ত তদন্তে পাওয়া গেছে, পাপুল প্রতি বছর ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতো।

এ মাসের প্রথম সপ্তাহে মানবপাচার, ভিসা বাণিজ্য ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত অপরাধে পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে তিনি মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারা সহায়তা করেছে ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের জন্য।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর