০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

বন্যার ধাক্কায় বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরে (২০১৮-১৯) ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এছাড়া মাসিক হিসেবে গত মে মাসের তুলনায় জুনে মূলস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। বন্যার ধাক্কায় এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

আজ সোমবার (০৬ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মে মাসের তুলনায় জুনে শূন্য দশিক ৬৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে হঠাৎ বন্যা। এ কারণে ফসল বিশেষ করে সবজির ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া এমনিতেই আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে অতিবৃষ্টির কারণে এ সময়টাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে যায়। তবে আমরা আশা করছি, বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত রাস্তা-ঘাট সংস্কার হবে; তখন সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক হবে। ফলে মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে।

এদিকে বিবিএস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বিবিএস’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জুনে গ্রামে সার্বিক মূলস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যষ্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিবিএস’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

বিজনেস বাংলাদেশ / শেখ

জনপ্রিয়

বন্যার ধাক্কায় বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

প্রকাশিত : ০৭:৪০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০

সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরে (২০১৮-১৯) ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এছাড়া মাসিক হিসেবে গত মে মাসের তুলনায় জুনে মূলস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। বন্যার ধাক্কায় এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

আজ সোমবার (০৬ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মে মাসের তুলনায় জুনে শূন্য দশিক ৬৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে হঠাৎ বন্যা। এ কারণে ফসল বিশেষ করে সবজির ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া এমনিতেই আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে অতিবৃষ্টির কারণে এ সময়টাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে যায়। তবে আমরা আশা করছি, বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত রাস্তা-ঘাট সংস্কার হবে; তখন সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক হবে। ফলে মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে।

এদিকে বিবিএস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বিবিএস’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জুনে গ্রামে সার্বিক মূলস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যষ্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিবিএস’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

বিজনেস বাংলাদেশ / শেখ