০৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ওয়ারীতে লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে: তাপস

ছবি সৃংগীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, গত তিন দিনে ওয়ারী এলাকায় করোনা সংক্রমণের যে হার দেখেছি সেটা লকডাউনের যৌক্তিকতাকে আরও তুলে ধরেছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি নমুনা সংগ্রহের প্রায় ৫০ ভাগের বেশি মানুষের সংক্রমণ ধরা পড়ছে। তাই লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে। তাহলে আমরা এলাকাটাকে করোনামুক্ত করতে পারব। তারপর সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটা পালন করবো।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) নগর ভবনে অনুষ্ঠিত লকডাউন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।

তাপস বলেন, আমরা আরও একটু কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছি। আমরা বুঝি এলাকাবাসীর অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাদের জীবিকা নির্বাহসহ ব্যবসা বাণিজ্য ও চলাফেরার অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমি অনুরোধ করবো আপনারা ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে সেটা পালন করবেন। এই করোনা মহামারি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যেসব নির্দেশনা ও বিধিগুলো দেয়া হয়েছে, সেগুলো সবাইকে পরিপালন করা খুবই আবশ্যক।

লকডাউনে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, লকডাউন এলাকার যেসব ত্রুটি বিচ্যুতি ধরা পড়ছে, আমরা সেটা আমলে নিচ্ছি। এজন্য আমরা প্রতি সপ্তাহে একটি করে সমন্বয় সভা করবো। বিষয়টি কঠোরভাবে পালন করা হবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে গত ৪ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২১ দিনের জন্য রাজধানী ওয়ারী এলাকার কিছু সড়কসহ একাংশ লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। লকডাউন চলবে আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত। শনিবার ভোর থেকে ওই এলাকার মানুষের অবাধ যাতায়াত, সড়ক, গলি ও গলির মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ওয়ারী এলাকার তিনটি রোড ও পাঁচটি গলি এই লকডাউনের অধীনে রয়েছে। রোডগুলো হলো- টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) পর্যন্ত। গলিগুলোর মধ্যে লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

ওয়ারীতে লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে: তাপস

প্রকাশিত : ০৬:০৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, গত তিন দিনে ওয়ারী এলাকায় করোনা সংক্রমণের যে হার দেখেছি সেটা লকডাউনের যৌক্তিকতাকে আরও তুলে ধরেছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি নমুনা সংগ্রহের প্রায় ৫০ ভাগের বেশি মানুষের সংক্রমণ ধরা পড়ছে। তাই লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে। তাহলে আমরা এলাকাটাকে করোনামুক্ত করতে পারব। তারপর সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটা পালন করবো।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) নগর ভবনে অনুষ্ঠিত লকডাউন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।

তাপস বলেন, আমরা আরও একটু কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছি। আমরা বুঝি এলাকাবাসীর অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাদের জীবিকা নির্বাহসহ ব্যবসা বাণিজ্য ও চলাফেরার অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমি অনুরোধ করবো আপনারা ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে সেটা পালন করবেন। এই করোনা মহামারি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যেসব নির্দেশনা ও বিধিগুলো দেয়া হয়েছে, সেগুলো সবাইকে পরিপালন করা খুবই আবশ্যক।

লকডাউনে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, লকডাউন এলাকার যেসব ত্রুটি বিচ্যুতি ধরা পড়ছে, আমরা সেটা আমলে নিচ্ছি। এজন্য আমরা প্রতি সপ্তাহে একটি করে সমন্বয় সভা করবো। বিষয়টি কঠোরভাবে পালন করা হবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে গত ৪ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২১ দিনের জন্য রাজধানী ওয়ারী এলাকার কিছু সড়কসহ একাংশ লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। লকডাউন চলবে আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত। শনিবার ভোর থেকে ওই এলাকার মানুষের অবাধ যাতায়াত, সড়ক, গলি ও গলির মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ওয়ারী এলাকার তিনটি রোড ও পাঁচটি গলি এই লকডাউনের অধীনে রয়েছে। রোডগুলো হলো- টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) পর্যন্ত। গলিগুলোর মধ্যে লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার