০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

তিন দিনে বিশ্বভ্রমণ মুসলিম নারীর!

তিন দিনে বিশ্বভ্রমণ সেরে গিনেস বুকে নাম লেখালেন এক সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক নারী। গত বুধবার গিনেস কর্তৃপক্ষ তাকে এ বিষয়ে রেকর্ডধারী হিসেবে ঘোষণা করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাওলা-অল-রোমাইঠি নামের সেই নারী মাত্র ৩ দিন ১৪ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে ঘুরে ফেলেছেন সাতটি মহাদেশ! তার এই সফর শেষ হয় সিডনিতে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই তিনি এই সফর শেষ করেন।

সফর নিয়ে যা বললেন খাওলা-অল-রোমাইঠি

এটা খুব কঠিন ভ্রমণ ছিল। অত্যন্ত ধৈর্যের দরকার ছিল। বিশেষ করে এয়ারপোর্টগুলোতে। কেননা সেখানে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। তা ছাড়া লাগাতার বিমান ভ্রমণটিও খুব কঠিন।

সফরের অনুভূতি

এ বিষেয়ে বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, এমন নয় যে, বিষয়টা সব সময়ই আমি দারুণ উপভোগ করেছি। বরং আমি ভীষণ ভাবে বাড়ি ফিরতে চাইছিলাম। তবে আমি লক্ষ্য থেকে সরে আসিনি। আমার পরিবার ও বন্ধুবর্গও আমাকে এই সময়ে দারুণ সমর্থন জুগিয়েছে। আমি যাতে ভ্রমণটি শেষ করতে পারি, সেজন্য তারা আমাকে সব সময়ে উৎসাহ জুগিয়েছেন।’

কেন এমন স্বপ্ন দেখলেন?

নিজের দেশই তাকে এই ভ্রমণে উৎসাহ জুগিয়েছে বলে জানান তিনি। তার দেশে প্রায় ২০০ বিভিন্ন জনজাতি আছে। তাদের বসবাসের এলাকা, তাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে খাওলা-অল-রোমাইঠির মনে প্রচুর আগ্রহ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সারা বিশ্বের মানুষ দেখতে তাই বেরিয়ে পড়তে পেরেছিলেন তিনি।

এই ব্যতিক্রম ভ্রমণটি করোনার আগে শেষ করলেও স্বীকৃতি মিলল গত বুধবার। সব চেয়ে কম সময়ে, সব চেয়ে দ্রুত বিশ্বভ্রমণ করার কৃতিত্বের জন্য গিনেস গত বুধবার রোমাইঠিকে এ বিষয়ে রেকর্ডধারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

তিন দিনে বিশ্বভ্রমণ মুসলিম নারীর!

প্রকাশিত : ০৮:৫০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

তিন দিনে বিশ্বভ্রমণ সেরে গিনেস বুকে নাম লেখালেন এক সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক নারী। গত বুধবার গিনেস কর্তৃপক্ষ তাকে এ বিষয়ে রেকর্ডধারী হিসেবে ঘোষণা করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাওলা-অল-রোমাইঠি নামের সেই নারী মাত্র ৩ দিন ১৪ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে ঘুরে ফেলেছেন সাতটি মহাদেশ! তার এই সফর শেষ হয় সিডনিতে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই তিনি এই সফর শেষ করেন।

সফর নিয়ে যা বললেন খাওলা-অল-রোমাইঠি

এটা খুব কঠিন ভ্রমণ ছিল। অত্যন্ত ধৈর্যের দরকার ছিল। বিশেষ করে এয়ারপোর্টগুলোতে। কেননা সেখানে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। তা ছাড়া লাগাতার বিমান ভ্রমণটিও খুব কঠিন।

সফরের অনুভূতি

এ বিষেয়ে বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, এমন নয় যে, বিষয়টা সব সময়ই আমি দারুণ উপভোগ করেছি। বরং আমি ভীষণ ভাবে বাড়ি ফিরতে চাইছিলাম। তবে আমি লক্ষ্য থেকে সরে আসিনি। আমার পরিবার ও বন্ধুবর্গও আমাকে এই সময়ে দারুণ সমর্থন জুগিয়েছে। আমি যাতে ভ্রমণটি শেষ করতে পারি, সেজন্য তারা আমাকে সব সময়ে উৎসাহ জুগিয়েছেন।’

কেন এমন স্বপ্ন দেখলেন?

নিজের দেশই তাকে এই ভ্রমণে উৎসাহ জুগিয়েছে বলে জানান তিনি। তার দেশে প্রায় ২০০ বিভিন্ন জনজাতি আছে। তাদের বসবাসের এলাকা, তাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে খাওলা-অল-রোমাইঠির মনে প্রচুর আগ্রহ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সারা বিশ্বের মানুষ দেখতে তাই বেরিয়ে পড়তে পেরেছিলেন তিনি।

এই ব্যতিক্রম ভ্রমণটি করোনার আগে শেষ করলেও স্বীকৃতি মিলল গত বুধবার। সব চেয়ে কম সময়ে, সব চেয়ে দ্রুত বিশ্বভ্রমণ করার কৃতিত্বের জন্য গিনেস গত বুধবার রোমাইঠিকে এ বিষয়ে রেকর্ডধারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ