০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

অধিনায় পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে দুঃসংবাদ দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। ইনজুরির কারণে দলের অধিনায়ক ড্যান ফন নিকার্ক, অলরাউন্ডার ক্লো ট্রায়ন এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরেক খেলোয়াড়কে (নাম প্রকাশ করা হয়নি) এ দুই সিরিজে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দল।

এ সিরিজকে সামনে রেখে পিঠের ইনজুরি সেরে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন নিকার্ক ও ট্রায়ন। কিন্তু এ দফায় তা হচ্ছে না। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে আরও। এছাড়া করোনা পজিটিভ হওয়া খেলোয়াড় ব্যতীত স্কোয়াডের বাকি সবার নমুনার ফল এসেছে নেগেটিভ। ফলে ডারবানে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন তারা।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল একটি ওয়ানডে ও দুইটি টি-টোয়েন্টি হবে পিটারমারিৎবার্গে। তবে করোনা সতর্কতা ও রাত ৯টার পর থেকে চলমান কারফিউয়ের কারণে দুই সিরিজের ছয়টি ম্যাচই আয়োজন করা হবে কিংসমিডে। যাতে করে ভ্রমণের জন্য বাড়তি সময় না লাগে এবং হোটেলে ফিরতে সমস্যা না হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের চিকিৎসক শেগোফাটসো গায়েতসোই বলেছেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে পিঠের নিচের দিকে চোট পেয়েছেন নিকার্ক ও ট্রায়ন। দুজন তাদের পুনর্বাসনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে। তাদের উন্নতি সন্তোষজনক। তবে সামনের সিরিজটিতে পাওয়া যাবে না। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ভালোভাবেই এগুচ্ছে।’

এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি ২০২১ সালে কতগুলো সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে বছরের প্রথম ও নিশ্চিত সিরিজটিতে অধিনায়ককে না পাওয়া অনেক বড় ক্ষতি হিসেবেই দেখছেন প্রোটিয়া নারী দলের কোচ হিলটন মোরেং। কেননা যখনই খেলার সুযোগ আসে, তখন সব দলই চায় নিজেদের সেরা খেলোয়াড়কে নিয়ে মাঠে নামতে।

এদিকে নিকার্ক না থাকায় এখন প্রশ্ন উঠেছে এ দুই সিরিজে অধিনায়কত্ব করবেন কে? এ দৌড়ে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার সুন লুস। যিনি ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালে দশ ওয়ানডে ও নয় টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আসন্ন সিরিজেও লুসের কাঁধেই অধিনায়কত্ব থাকবে কি না, তা এখনও চূড়ান্ত করেনি প্রোটিয়ারা।

গতবছরের মার্চে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর কোনো ম্যাচ খেলেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৪ খেলোয়াড়ের অন্তত ৮ জন নারী বিগ ব্যাশ ও ভারতের ওমেনস টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ খেলেছেন। ফলে ম্যাচ প্র্যাকটিসটা তাদের হয়েছে এ সময়ের মধ্যে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

অধিনায় পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশিত : ১১:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে দুঃসংবাদ দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। ইনজুরির কারণে দলের অধিনায়ক ড্যান ফন নিকার্ক, অলরাউন্ডার ক্লো ট্রায়ন এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরেক খেলোয়াড়কে (নাম প্রকাশ করা হয়নি) এ দুই সিরিজে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দল।

এ সিরিজকে সামনে রেখে পিঠের ইনজুরি সেরে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন নিকার্ক ও ট্রায়ন। কিন্তু এ দফায় তা হচ্ছে না। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে আরও। এছাড়া করোনা পজিটিভ হওয়া খেলোয়াড় ব্যতীত স্কোয়াডের বাকি সবার নমুনার ফল এসেছে নেগেটিভ। ফলে ডারবানে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন তারা।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল একটি ওয়ানডে ও দুইটি টি-টোয়েন্টি হবে পিটারমারিৎবার্গে। তবে করোনা সতর্কতা ও রাত ৯টার পর থেকে চলমান কারফিউয়ের কারণে দুই সিরিজের ছয়টি ম্যাচই আয়োজন করা হবে কিংসমিডে। যাতে করে ভ্রমণের জন্য বাড়তি সময় না লাগে এবং হোটেলে ফিরতে সমস্যা না হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের চিকিৎসক শেগোফাটসো গায়েতসোই বলেছেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে পিঠের নিচের দিকে চোট পেয়েছেন নিকার্ক ও ট্রায়ন। দুজন তাদের পুনর্বাসনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে। তাদের উন্নতি সন্তোষজনক। তবে সামনের সিরিজটিতে পাওয়া যাবে না। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ভালোভাবেই এগুচ্ছে।’

এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি ২০২১ সালে কতগুলো সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে বছরের প্রথম ও নিশ্চিত সিরিজটিতে অধিনায়ককে না পাওয়া অনেক বড় ক্ষতি হিসেবেই দেখছেন প্রোটিয়া নারী দলের কোচ হিলটন মোরেং। কেননা যখনই খেলার সুযোগ আসে, তখন সব দলই চায় নিজেদের সেরা খেলোয়াড়কে নিয়ে মাঠে নামতে।

এদিকে নিকার্ক না থাকায় এখন প্রশ্ন উঠেছে এ দুই সিরিজে অধিনায়কত্ব করবেন কে? এ দৌড়ে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার সুন লুস। যিনি ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালে দশ ওয়ানডে ও নয় টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আসন্ন সিরিজেও লুসের কাঁধেই অধিনায়কত্ব থাকবে কি না, তা এখনও চূড়ান্ত করেনি প্রোটিয়ারা।

গতবছরের মার্চে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর কোনো ম্যাচ খেলেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৪ খেলোয়াড়ের অন্তত ৮ জন নারী বিগ ব্যাশ ও ভারতের ওমেনস টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ খেলেছেন। ফলে ম্যাচ প্র্যাকটিসটা তাদের হয়েছে এ সময়ের মধ্যে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার