১২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাম্পাস থেকে চিরতরে মাদক নির্মূল করবো- রাবি প্রক্টর

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে অবস্থান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এতো পুলিশি টহল, প্রক্টরিয়াল বডির ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন জায়গায় গার্ড থাকা স্বত্তেও ক্যাম্পাসে ভিতরে চলছে মাদকের আড্ডা। যা কি না মাত্রাতিরিক্ত। গতকাল বৃহষ্পতিবার ক্যাম্পাসে মাদকের আড্ডা কমাতে ও কড়া নিরাপত্তা জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ড ও সুপারভাইজারদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলো প্রক্টরিয়াল বডি। এতো নিরাপত্তা ও গার্ড থাকা পরেও কিভাবে মাদক সেবন করে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন দায়িত্বে থাকা সুপার ভাইজার ও গার্ডদের।

কদিন পূর্বে “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার” ফেসবুক গ্রুপে, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় ফেনসিডিল বোতলের স্তুপ করা একটি ছবি পোস্ট করা হলে,সেখানে শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের মাঝে ওঠে সমালোচনার ঝড়।

শিক্ষার্থীরা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মত এতো সুন্দর ক্যাম্পাসে এখন মাদকসেবীদের রাজ্যতে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডি ও পুলিশি টহল স্বত্তেও মাদকসেবিদের আড্ডা হয় এটা মাথায় আসেনা। অতিদ্রুত এসব মাদকসেবদের চিহ্নিত করে আইনের আওতাও নিয়ে আসুক নয়ত তাদের অবাদ বিচরণ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বরের মাঠ, শহীদ হাবিবুর রহমান মাঠ, স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের পেছনে তুঁতবাগান এলাকায়, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোরস্তান এলাকা, চারুকলা, তুঁত বাগান, কৃষি প্রকল্পের গবেষণা মাঠ, মাদার বখশ হল রাস্তা সহ বেশ কিছু জায়গায় স্তুপ হয়ে পড়ে আছে ফেনসিডিল, মদ ও বিয়ারের খালি বোতল। ফলে নষ্ট হচ্ছে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল সমূহে জনসমাগম কম থাকায় এই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গাকে মাদকের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানিয়ে ফেলেছে মাদকসেবিরা।

প্রক্টর জানিয়েছেন, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুঁত বাগানে মাদকসেবন হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশসহ সেখানে অভিযান চালায়। কিন্তু খবর পেয়ে আগেই স্থান ত্যাগ করে মাদকসেবীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডি সেখান থেকে ৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এবং ১৫টি ফেনসিডিলের খালি বোতল উদ্ধার করে।
ক্যাম্পাস থেকে মাদকের আড্ডা নির্মূল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টররিয়াল বডির স্টুয়াড শাখা সকল সুপারভাইজার ও গার্ডদের নিয়ে আলোচনায় ক্যাম্পাসে মাদক নির্মূল সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে মাদকসেবিদের আড্ডা নিমূল করতে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের গার্ড ও সুপারভাইজারদের বলে দিয়েছি, ক্যাম্পাসে কোথাও মাদকের আড্ডা বসে তাহলে আমাদের জানাতে। তাদের জন্য আলাদা পোশাক ও আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

আমরা যারা মাদকবিক্রেতা ও এসব জিনিস আদানপ্রদান করে এবং এদের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করব। ক্যাম্পাসে ৬৫ টি জায়গায় গার্ডদের সতর্ক থাকতে বলেছি। যাতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মাদক গ্রহণ করতে না পারে। কোন শিক্ষার্থীদের ওপর যাদের মাদকের প্রভাব না পরে। আমরা ক্যাম্পাস থেকে মাদক নির্মূল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, নগদ অর্থ লুট, আহত ৩

ক্যাম্পাস থেকে চিরতরে মাদক নির্মূল করবো- রাবি প্রক্টর

প্রকাশিত : ০৬:১৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে অবস্থান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এতো পুলিশি টহল, প্রক্টরিয়াল বডির ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন জায়গায় গার্ড থাকা স্বত্তেও ক্যাম্পাসে ভিতরে চলছে মাদকের আড্ডা। যা কি না মাত্রাতিরিক্ত। গতকাল বৃহষ্পতিবার ক্যাম্পাসে মাদকের আড্ডা কমাতে ও কড়া নিরাপত্তা জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ড ও সুপারভাইজারদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলো প্রক্টরিয়াল বডি। এতো নিরাপত্তা ও গার্ড থাকা পরেও কিভাবে মাদক সেবন করে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন দায়িত্বে থাকা সুপার ভাইজার ও গার্ডদের।

কদিন পূর্বে “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার” ফেসবুক গ্রুপে, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় ফেনসিডিল বোতলের স্তুপ করা একটি ছবি পোস্ট করা হলে,সেখানে শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের মাঝে ওঠে সমালোচনার ঝড়।

শিক্ষার্থীরা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মত এতো সুন্দর ক্যাম্পাসে এখন মাদকসেবীদের রাজ্যতে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডি ও পুলিশি টহল স্বত্তেও মাদকসেবিদের আড্ডা হয় এটা মাথায় আসেনা। অতিদ্রুত এসব মাদকসেবদের চিহ্নিত করে আইনের আওতাও নিয়ে আসুক নয়ত তাদের অবাদ বিচরণ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বরের মাঠ, শহীদ হাবিবুর রহমান মাঠ, স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের পেছনে তুঁতবাগান এলাকায়, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোরস্তান এলাকা, চারুকলা, তুঁত বাগান, কৃষি প্রকল্পের গবেষণা মাঠ, মাদার বখশ হল রাস্তা সহ বেশ কিছু জায়গায় স্তুপ হয়ে পড়ে আছে ফেনসিডিল, মদ ও বিয়ারের খালি বোতল। ফলে নষ্ট হচ্ছে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল সমূহে জনসমাগম কম থাকায় এই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গাকে মাদকের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানিয়ে ফেলেছে মাদকসেবিরা।

প্রক্টর জানিয়েছেন, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুঁত বাগানে মাদকসেবন হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশসহ সেখানে অভিযান চালায়। কিন্তু খবর পেয়ে আগেই স্থান ত্যাগ করে মাদকসেবীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডি সেখান থেকে ৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এবং ১৫টি ফেনসিডিলের খালি বোতল উদ্ধার করে।
ক্যাম্পাস থেকে মাদকের আড্ডা নির্মূল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টররিয়াল বডির স্টুয়াড শাখা সকল সুপারভাইজার ও গার্ডদের নিয়ে আলোচনায় ক্যাম্পাসে মাদক নির্মূল সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে মাদকসেবিদের আড্ডা নিমূল করতে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের গার্ড ও সুপারভাইজারদের বলে দিয়েছি, ক্যাম্পাসে কোথাও মাদকের আড্ডা বসে তাহলে আমাদের জানাতে। তাদের জন্য আলাদা পোশাক ও আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

আমরা যারা মাদকবিক্রেতা ও এসব জিনিস আদানপ্রদান করে এবং এদের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করব। ক্যাম্পাসে ৬৫ টি জায়গায় গার্ডদের সতর্ক থাকতে বলেছি। যাতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মাদক গ্রহণ করতে না পারে। কোন শিক্ষার্থীদের ওপর যাদের মাদকের প্রভাব না পরে। আমরা ক্যাম্পাস থেকে মাদক নির্মূল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর