১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

করোনা মহামারিতে বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বেড়েছে ১৩ কোটি

করোনা মহামারিতে আয় রোজগার কমে যাওয়ায় গোট বিশ্বে নতুন করে ১৩ কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এতে বিশ্বে এখন মোট ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ কোটি।

আজ শুক্রবার বার্লিনে কৃষিমন্ত্রীদের কনফারেন্স এসব তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেন।

জার্মান সরকারের আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী ১৩তম ‘গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ)’ শেষ হয়েছে আজ। ‘মহামারি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে কীভাবে বিশ্বকে খাওয়ানো যায়’ শিরোনামে কৃষি-খাদ্য বিষয়ক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ সম্মেলনে ৯০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ একটি ‘যৌথ ইশতেহার (কমিউনিক)’ প্রস্তুত করেছে।

‘কৃষিমন্ত্রীদের কনফারেন্সে’ তিনটি বিষয়কে এবারের যৌথ ইশতেহারে গুরুত্ব দিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। প্রথমটি হচ্ছে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এ সময় জার্মান কৃষিমন্ত্রী জুলিয়া ক্লোকনার জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু আগেই বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৬৯ কোটি (৬৯০ মিলিয়ন)। শতকরা হিসেবে যা বিশ্বজনসংখ্যার প্রায় ৯ ভাগ। করোনাকালে খাদ্য সরবরাহ ও বাজার স্থিতিশীল থাকলেও অর্থনৈতিক স্থবিরতায় বেকারত্ব ও আয় হারিয়ে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। বিদ্যমান এই বিশাল ক্ষুধার্ত মানুষের সাথে গত এক বছরে আরো ১৩ কোটি ক্ষুধার্তমুখ নতুন করে যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২০২০ সালে পাঁচ বছরের নিচের আরও ৭০ লাখ শিশু ‘চরম অপুষ্টির’ শিকার হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

করোনা মহামারিতে বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বেড়েছে ১৩ কোটি

প্রকাশিত : ০৯:১৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১

করোনা মহামারিতে আয় রোজগার কমে যাওয়ায় গোট বিশ্বে নতুন করে ১৩ কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এতে বিশ্বে এখন মোট ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ কোটি।

আজ শুক্রবার বার্লিনে কৃষিমন্ত্রীদের কনফারেন্স এসব তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেন।

জার্মান সরকারের আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী ১৩তম ‘গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ)’ শেষ হয়েছে আজ। ‘মহামারি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে কীভাবে বিশ্বকে খাওয়ানো যায়’ শিরোনামে কৃষি-খাদ্য বিষয়ক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ সম্মেলনে ৯০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ একটি ‘যৌথ ইশতেহার (কমিউনিক)’ প্রস্তুত করেছে।

‘কৃষিমন্ত্রীদের কনফারেন্সে’ তিনটি বিষয়কে এবারের যৌথ ইশতেহারে গুরুত্ব দিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। প্রথমটি হচ্ছে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এ সময় জার্মান কৃষিমন্ত্রী জুলিয়া ক্লোকনার জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু আগেই বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৬৯ কোটি (৬৯০ মিলিয়ন)। শতকরা হিসেবে যা বিশ্বজনসংখ্যার প্রায় ৯ ভাগ। করোনাকালে খাদ্য সরবরাহ ও বাজার স্থিতিশীল থাকলেও অর্থনৈতিক স্থবিরতায় বেকারত্ব ও আয় হারিয়ে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। বিদ্যমান এই বিশাল ক্ষুধার্ত মানুষের সাথে গত এক বছরে আরো ১৩ কোটি ক্ষুধার্তমুখ নতুন করে যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২০২০ সালে পাঁচ বছরের নিচের আরও ৭০ লাখ শিশু ‘চরম অপুষ্টির’ শিকার হয়েছে।