০১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আলোর মুখ দেখেনি যে প্রেমগুলো

নায়িকারা এত বোকা কেন? এমন প্রশ্ন দেখে হয়তো অনেকেই ভিরমি খেতে পারেন। নায়িকারা আবার বোকা হয় নাকি। আমিও ভাবি নায়িকা তো নায়িকাই। তারা বোকা হবে কেন? কিন্তু ঘটনার ভেতরের ঘটনা দেখলে কেন জানি মনে হয়, তারা বোকার স্বর্গেই বাস করেন। আমরা যদি আগের ঘটনাও বিশ্লেষণ করে থাকি, তা হলে দেখব। রাজ্জাকের সঙ্গে তুমুল প্রেম করেছেন কবরী। তুমুল বললাম কারণ সেই সময় সবাই জানতেন বিষয়টি। এমনকি চলচ্চিত্রে টক অব দ্য টাউন ছিল রাজ্জাক-কবরীর প্রেম। কিন্তু কখনই স্বীকার করেননি তারা। সেই প্রেম আসলেই আলোর মুখ দেখেনি। কারণ তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। তার পরও সবাইকে বোকা বানিয়ে তারা দিনের পর দিন প্রেম করেছেন। যদিও সেই প্রেম সম্পর্কে সাংবাদিক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা জানতেন। তবে আসল বোকা কিন্তু তারাই ছিলেন। তার কয়েক বছর পরেই জাফর ইকবাল ও ববিতার প্রেম নিয়েও জল কম ঘোলা হয়নি। তারাও বিষয়টি স্বীকার করেননি। সবাই জানার পরও দিনের পর দিন অস্বীকার করে গেছেন। চলচ্চিত্রের কেউ জানত না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। এই জুটিও অনেক লুকোচুরি করেছে। সবাই যেখানে বোকা তারা সেখানে চালাক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রেমও আলোর মুখ দেখেনি। যদিও জাফর ইকবালের না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার পর বিষয়টি অনেকটাই স্বীকার করে নেন ববিতা। এ ক্ষেত্রে আসলে বোকা কে? দর্শকরাই এ প্রশ্নের ভালো উত্তর দিতে পারবে। চলচ্চিত্রের মাঝখানের সময়টুকুতে সালমান শাহ-শাবনূরের প্রেমের কথা কে না জানে? গভীর প্রেমও হয়ে গেল ভালো বন্ধু। সেই প্রেমও পরিণতি পায়নি। সালমান চলে যাওয়ার পরও তাদের প্রেম আলোচনায় থাকে। এখনো শাবনূরের মুখে ভালো বন্ধু হিসেবেই আখ্যায়িত সেই প্রেম। তাদের প্রেম নিয়ে পর্দার বাইরেও আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এমনকি সালমান শাহর মৃত্যু সেই কারণেই বলে গুঞ্জন রয়েছে। চলচ্চিত্রে যখন সালমান শাহ যুগের অবসান হয় তখন রিয়াজের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এমনকি একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দেন রিয়াজ-শাবনূর। এ জুটি জনপ্রিয় হলেও তাদের প্রেমের গুঞ্জন তেমন আলোচনা তৈরি করতে পারেনি। এর মধ্যে রিয়াজের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে আলোচনায় আসে পূর্ণিমা। এই জুটিও দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একের পর এক দর্শকপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেন তারা। এর মধ্যে রিয়াজ-পূর্ণিমার প্রেম নিয়েও শুরু হয় গুঞ্জন। যদিও চলচ্চিত্রে এটা সবার মুখে মুখেই ছিল। তার পরও তাদের প্রেম আলোর মুখ দেখবে দেখবে করেও পরিণতি পায়নি। আলোর মুখ না দেখলেও রিয়াজ-পূর্ণিমার প্রেমও কিন্তু কম যায়নি। কিন্তু সেটাও আলোর মুখ দেখেনি। এবার আসি নতুন প্রজন্মের দিকে। এ প্রজন্মের অনেকেই সবাইকে বোকা বানিয়ে প্রেম করেন। কিন্তু বাস্তবে এসব প্রেমের পরিণতি দেখা যায়নি। যদিও শাকিল খান-পপি জুটির প্রেম নাকি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। অনেকেই বলেন, পপির সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়েছিল। কিছু দিন ঘরও করেছেন। কিন্তু বাস্তবেও এর সত্যতা কখনই স্বীকার করেননি পপি ও শাকিল খান। তবে তাদের প্রেম ছিল এটা সবারই জানা। পর্দার রসায়নের বাইরে তারকাদের জুটিগুলোকে হিট বানানোর জন্যও অনেক সময় এমন প্রেমের বাতাস আকাশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা সব সময়ই ছিল। পুরনো আমলে রাজ্জাক-কবরীর প্রেম তেমনই ছিল বলে অনেকেই বলে থাকেন। রিয়াজ-শাবনূর জুটিকেও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির চাইতে হলিউড-বলিউডে এ ধরনের প্রবণতা আরো বেশি। তবে অনেকেই বলেন, চলচ্চিত্রে এমন প্রবণতা ইতিবাচক হিসেবেই দেখা যায়।
কিন্তু শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের প্রেম নিয়ে অনেক সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। তাদের প্রেমের মেয়াদ কম থাকলেও বিয়ের মেয়াদ অনেক বেশি ছিল। গোপনে বিয়ে করে পুরো ক্যারিয়ার পার করেন অপু বিশ্বাস। যখন সেই বিয়ের খবর প্রকাশ পায় তার কিছু দিন পরই তাদের বিচ্ছেদ হয়। এক সন্তানসহ নিজের বিয়ের খবর প্রকাশ করেন অপু। তাদের প্রেম গোপনে আলোর মুখ দেখলেও বাস্তবে এখন দুজনের পথ গেছে দুদিকে বেঁকে। তাই তাদের প্রেম নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে চলচ্চিত্রে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়, এমপি মকবুল হোসেনের দুই ছেলের নামে মামলা

আলোর মুখ দেখেনি যে প্রেমগুলো

প্রকাশিত : ১২:০০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নায়িকারা এত বোকা কেন? এমন প্রশ্ন দেখে হয়তো অনেকেই ভিরমি খেতে পারেন। নায়িকারা আবার বোকা হয় নাকি। আমিও ভাবি নায়িকা তো নায়িকাই। তারা বোকা হবে কেন? কিন্তু ঘটনার ভেতরের ঘটনা দেখলে কেন জানি মনে হয়, তারা বোকার স্বর্গেই বাস করেন। আমরা যদি আগের ঘটনাও বিশ্লেষণ করে থাকি, তা হলে দেখব। রাজ্জাকের সঙ্গে তুমুল প্রেম করেছেন কবরী। তুমুল বললাম কারণ সেই সময় সবাই জানতেন বিষয়টি। এমনকি চলচ্চিত্রে টক অব দ্য টাউন ছিল রাজ্জাক-কবরীর প্রেম। কিন্তু কখনই স্বীকার করেননি তারা। সেই প্রেম আসলেই আলোর মুখ দেখেনি। কারণ তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। তার পরও সবাইকে বোকা বানিয়ে তারা দিনের পর দিন প্রেম করেছেন। যদিও সেই প্রেম সম্পর্কে সাংবাদিক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা জানতেন। তবে আসল বোকা কিন্তু তারাই ছিলেন। তার কয়েক বছর পরেই জাফর ইকবাল ও ববিতার প্রেম নিয়েও জল কম ঘোলা হয়নি। তারাও বিষয়টি স্বীকার করেননি। সবাই জানার পরও দিনের পর দিন অস্বীকার করে গেছেন। চলচ্চিত্রের কেউ জানত না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। এই জুটিও অনেক লুকোচুরি করেছে। সবাই যেখানে বোকা তারা সেখানে চালাক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রেমও আলোর মুখ দেখেনি। যদিও জাফর ইকবালের না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার পর বিষয়টি অনেকটাই স্বীকার করে নেন ববিতা। এ ক্ষেত্রে আসলে বোকা কে? দর্শকরাই এ প্রশ্নের ভালো উত্তর দিতে পারবে। চলচ্চিত্রের মাঝখানের সময়টুকুতে সালমান শাহ-শাবনূরের প্রেমের কথা কে না জানে? গভীর প্রেমও হয়ে গেল ভালো বন্ধু। সেই প্রেমও পরিণতি পায়নি। সালমান চলে যাওয়ার পরও তাদের প্রেম আলোচনায় থাকে। এখনো শাবনূরের মুখে ভালো বন্ধু হিসেবেই আখ্যায়িত সেই প্রেম। তাদের প্রেম নিয়ে পর্দার বাইরেও আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এমনকি সালমান শাহর মৃত্যু সেই কারণেই বলে গুঞ্জন রয়েছে। চলচ্চিত্রে যখন সালমান শাহ যুগের অবসান হয় তখন রিয়াজের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এমনকি একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দেন রিয়াজ-শাবনূর। এ জুটি জনপ্রিয় হলেও তাদের প্রেমের গুঞ্জন তেমন আলোচনা তৈরি করতে পারেনি। এর মধ্যে রিয়াজের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে আলোচনায় আসে পূর্ণিমা। এই জুটিও দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একের পর এক দর্শকপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেন তারা। এর মধ্যে রিয়াজ-পূর্ণিমার প্রেম নিয়েও শুরু হয় গুঞ্জন। যদিও চলচ্চিত্রে এটা সবার মুখে মুখেই ছিল। তার পরও তাদের প্রেম আলোর মুখ দেখবে দেখবে করেও পরিণতি পায়নি। আলোর মুখ না দেখলেও রিয়াজ-পূর্ণিমার প্রেমও কিন্তু কম যায়নি। কিন্তু সেটাও আলোর মুখ দেখেনি। এবার আসি নতুন প্রজন্মের দিকে। এ প্রজন্মের অনেকেই সবাইকে বোকা বানিয়ে প্রেম করেন। কিন্তু বাস্তবে এসব প্রেমের পরিণতি দেখা যায়নি। যদিও শাকিল খান-পপি জুটির প্রেম নাকি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। অনেকেই বলেন, পপির সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়েছিল। কিছু দিন ঘরও করেছেন। কিন্তু বাস্তবেও এর সত্যতা কখনই স্বীকার করেননি পপি ও শাকিল খান। তবে তাদের প্রেম ছিল এটা সবারই জানা। পর্দার রসায়নের বাইরে তারকাদের জুটিগুলোকে হিট বানানোর জন্যও অনেক সময় এমন প্রেমের বাতাস আকাশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা সব সময়ই ছিল। পুরনো আমলে রাজ্জাক-কবরীর প্রেম তেমনই ছিল বলে অনেকেই বলে থাকেন। রিয়াজ-শাবনূর জুটিকেও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির চাইতে হলিউড-বলিউডে এ ধরনের প্রবণতা আরো বেশি। তবে অনেকেই বলেন, চলচ্চিত্রে এমন প্রবণতা ইতিবাচক হিসেবেই দেখা যায়।
কিন্তু শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের প্রেম নিয়ে অনেক সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। তাদের প্রেমের মেয়াদ কম থাকলেও বিয়ের মেয়াদ অনেক বেশি ছিল। গোপনে বিয়ে করে পুরো ক্যারিয়ার পার করেন অপু বিশ্বাস। যখন সেই বিয়ের খবর প্রকাশ পায় তার কিছু দিন পরই তাদের বিচ্ছেদ হয়। এক সন্তানসহ নিজের বিয়ের খবর প্রকাশ করেন অপু। তাদের প্রেম গোপনে আলোর মুখ দেখলেও বাস্তবে এখন দুজনের পথ গেছে দুদিকে বেঁকে। তাই তাদের প্রেম নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে চলচ্চিত্রে।