০৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সবজিতে স্বস্তি

সবজির বাজারে স্বস্তি থাকলেও পেঁয়াজ ও আলু নতুন করে দুঃশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে রাজধানীর ক্রেতাদের। মাসখানিক হলো বাজারে ভালোভাবে জায়গা করে নিয়েছে নতুন আলু ও পেঁয়াজ। দামও অনেকটাই এসেছিল নাগালের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ করেই এই দুই নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ১০/১৫ টাকা বেড়ে গেছে। তবে কাঁচা সবজির বাজারে এসে দম ফেলার ফুঁসরত মিলছে ক্রেতাদের। শুক্রবার পুরনো ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পেঁয়াজের দাম স্থানীয় বাজারে বেড়ে যাওয়ায়, তারাও বাড়তি দামে বিক্রি করছে। পেঁয়াজের মতো নতুন আলুর দামও বেড়েছে খুচরা বাজারে। এক কেজি নতুন আলু গত সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকায়। শ্যামবাজারে আলুর পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ায় খুঁচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে বলছেন, পেঁয়াজের দামের প্রভাব পড়েছে নতুন আলুর ওপর। এছাড়াও দাম বেড়েছে বয়লার মুরগি ও ডিমের। গত সপ্তাহে ৮৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম বেড়ে এক লাফে ১০০ টাকায় উঠেছে। আর ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা হয়েছে। এখানে দাম বাড়ানোর পেছনে রয়েছে পাইকাররা। খুচরা দোকানিরা বলছে, বয়লারের খামার থেকে অল্প দামের মুরগি বেশি দামে বিক্রি করেন পাইকাররা। ন্যুনতম লাভ রেখে বিক্রি করলেও এক কেজি মুরগির দাম ওঠে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। পুরনো ঢাকার নবাবগঞ্জ বাজারে এখন সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। আর তুর্কি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। দেশি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। তবে আদা ও রসুনের দাম স্থিতিশীল। আদা ৮০ থেকে ১২০ এবং রসুন ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আকার ভেদে তা ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। দামের দিক থেকে সবজির বাজার এখন শান্ত। গাজর ২০-২৫ টাকা কেজি, মানভেদে শিম ও বেগুন ২৫-৩০, কাঁচা টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা ও পাকা টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে সয়াবিন তেল লিটার ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মশুর ডাল কেজি ৬০ থেকে ৯০ টাকা, মুগ ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা চিনি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকায়। এছাড়া রুই মাছ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি বড় ৬০০-১২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, টাকি ২০০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাক, বোয়াল ২৫০ টাকা কেজি দরে কেজি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। খাসীর মাংস প্রতিকেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সবজিতে স্বস্তি

প্রকাশিত : ১২:০১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সবজির বাজারে স্বস্তি থাকলেও পেঁয়াজ ও আলু নতুন করে দুঃশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে রাজধানীর ক্রেতাদের। মাসখানিক হলো বাজারে ভালোভাবে জায়গা করে নিয়েছে নতুন আলু ও পেঁয়াজ। দামও অনেকটাই এসেছিল নাগালের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ করেই এই দুই নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ১০/১৫ টাকা বেড়ে গেছে। তবে কাঁচা সবজির বাজারে এসে দম ফেলার ফুঁসরত মিলছে ক্রেতাদের। শুক্রবার পুরনো ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পেঁয়াজের দাম স্থানীয় বাজারে বেড়ে যাওয়ায়, তারাও বাড়তি দামে বিক্রি করছে। পেঁয়াজের মতো নতুন আলুর দামও বেড়েছে খুচরা বাজারে। এক কেজি নতুন আলু গত সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকায়। শ্যামবাজারে আলুর পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ায় খুঁচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে বলছেন, পেঁয়াজের দামের প্রভাব পড়েছে নতুন আলুর ওপর। এছাড়াও দাম বেড়েছে বয়লার মুরগি ও ডিমের। গত সপ্তাহে ৮৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম বেড়ে এক লাফে ১০০ টাকায় উঠেছে। আর ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা হয়েছে। এখানে দাম বাড়ানোর পেছনে রয়েছে পাইকাররা। খুচরা দোকানিরা বলছে, বয়লারের খামার থেকে অল্প দামের মুরগি বেশি দামে বিক্রি করেন পাইকাররা। ন্যুনতম লাভ রেখে বিক্রি করলেও এক কেজি মুরগির দাম ওঠে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। পুরনো ঢাকার নবাবগঞ্জ বাজারে এখন সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। আর তুর্কি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। দেশি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। তবে আদা ও রসুনের দাম স্থিতিশীল। আদা ৮০ থেকে ১২০ এবং রসুন ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আকার ভেদে তা ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। দামের দিক থেকে সবজির বাজার এখন শান্ত। গাজর ২০-২৫ টাকা কেজি, মানভেদে শিম ও বেগুন ২৫-৩০, কাঁচা টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা ও পাকা টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে সয়াবিন তেল লিটার ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মশুর ডাল কেজি ৬০ থেকে ৯০ টাকা, মুগ ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা চিনি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকায়। এছাড়া রুই মাছ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি বড় ৬০০-১২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, টাকি ২০০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাক, বোয়াল ২৫০ টাকা কেজি দরে কেজি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। খাসীর মাংস প্রতিকেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।