০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের জন্য প্রস্তুত ফুল ব্যবসায়ীরা

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ভাষা আন্দোলনের গর্ব ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪ তারিখে শুরু হয় ঋতুরাজ বসন্তকাল। প্রকৃতি সাজে নবরূপে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বসন্ত বরণে। সেই সাথে একই দিনে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ফুলের সমারোহে সাজে তরুণ-তরুণীরাও। শহর, বন্দর ও গ্রামে সর্বত্রই বিরাজ করে সাজ সাজ রব। এ বিশেষ দিনটিতে সারাদেশের ন্যায় ঝালকাঠি জেলা শহরের ব্যবসায়ীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ১লা ফাল্গুন পহেলা বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গোলাপসহ রংবেরঙের ফুলের সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ফুল ব্যবসায়ীরা। মাঘ শেষের এ সময়ে প্রকৃতিতেই যেন ছড়িয়ে থাকে প্রেম। বছর ধরে বুকে-বন্দী বাতাস উড়িয়ে দেওয়ার সময় উপস্থিত। এখন কথা হবে কানে কানে। ঠিক এ সময়ে কেউ যদি রবি ঠাকুরের সেই কবিতার মতো বলে, ‘গোলাপ ফুল ফুটিয়ে আছে, মধুপ, হোথা যাস নে-/ ফুলের মধু লুটিতে গিয়ে কাঁটার ঘা খাস নে’। ভালোবাসার এ সময়ে দুর্বিনীত প্রেমিক-যুগল শুনবে কেন সে কথা? সেই ভ্রমরের মতোই হয়তো তারা বলবে, ‘মরমে যাহা গোপন আছে গোলাপে তাহা বলিব-/ বলিতে যদি জ্বলিতে হয় কাঁটারই ঘায়ে জ্বলিব।’
ভালোবাসা দিবস সামনে ও বসন্ত কাল সামনে। শহরজীবনে ঘরে রাখা টবের গাছের গোলাপ কাক্সিক্ষত জনকে দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও প্রায় বেশির ভাগ মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাই সহায় চাষের ফুল দোকান থেকে কিনে নিয়ে উপহার দেয়া। শহরের কামারপট্টি রোডের ফুল দোকানীদের হুঁশ নেই। যশোরের বিস্তির্ণ এলাকার ফুল চাষীদের কাছ থেকে ফুল ক্রয়, সরবরাহ ও সংরক্ষণ করায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিনগুণ ব্যস্ততা দোকানীদের।
দোকানীরা জানান, গতবছর এই ভালোবাসা দিবসেই গোলাপের সর্বোচ্চ বিক্রি হয়। গতবার প্রায় ১০ হাজার গোলাপ সংগ্রহ করেছিলেন দিবসের আগে। ফুলের সরবরাহ কম। কিন্তু চাহিদা তো কমেনি। অর্থনীতির চিরাচরিত নিয়ম, সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি হলে পণ্যের দাম বাড়বে। এবার কম দামে গোলাপ পাওয়া যাচ্ছে না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। মাঠ থেকে প্রতি গোলাপের দাম ধরেছেন সাড়ে ১৪ টাকা। আগের বছর ১০ টাকার কম পড়েছিল।

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের জন্য প্রস্তুত ফুল ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত : ১২:০১:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ভাষা আন্দোলনের গর্ব ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪ তারিখে শুরু হয় ঋতুরাজ বসন্তকাল। প্রকৃতি সাজে নবরূপে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বসন্ত বরণে। সেই সাথে একই দিনে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ফুলের সমারোহে সাজে তরুণ-তরুণীরাও। শহর, বন্দর ও গ্রামে সর্বত্রই বিরাজ করে সাজ সাজ রব। এ বিশেষ দিনটিতে সারাদেশের ন্যায় ঝালকাঠি জেলা শহরের ব্যবসায়ীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ১লা ফাল্গুন পহেলা বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গোলাপসহ রংবেরঙের ফুলের সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ফুল ব্যবসায়ীরা। মাঘ শেষের এ সময়ে প্রকৃতিতেই যেন ছড়িয়ে থাকে প্রেম। বছর ধরে বুকে-বন্দী বাতাস উড়িয়ে দেওয়ার সময় উপস্থিত। এখন কথা হবে কানে কানে। ঠিক এ সময়ে কেউ যদি রবি ঠাকুরের সেই কবিতার মতো বলে, ‘গোলাপ ফুল ফুটিয়ে আছে, মধুপ, হোথা যাস নে-/ ফুলের মধু লুটিতে গিয়ে কাঁটার ঘা খাস নে’। ভালোবাসার এ সময়ে দুর্বিনীত প্রেমিক-যুগল শুনবে কেন সে কথা? সেই ভ্রমরের মতোই হয়তো তারা বলবে, ‘মরমে যাহা গোপন আছে গোলাপে তাহা বলিব-/ বলিতে যদি জ্বলিতে হয় কাঁটারই ঘায়ে জ্বলিব।’
ভালোবাসা দিবস সামনে ও বসন্ত কাল সামনে। শহরজীবনে ঘরে রাখা টবের গাছের গোলাপ কাক্সিক্ষত জনকে দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও প্রায় বেশির ভাগ মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাই সহায় চাষের ফুল দোকান থেকে কিনে নিয়ে উপহার দেয়া। শহরের কামারপট্টি রোডের ফুল দোকানীদের হুঁশ নেই। যশোরের বিস্তির্ণ এলাকার ফুল চাষীদের কাছ থেকে ফুল ক্রয়, সরবরাহ ও সংরক্ষণ করায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিনগুণ ব্যস্ততা দোকানীদের।
দোকানীরা জানান, গতবছর এই ভালোবাসা দিবসেই গোলাপের সর্বোচ্চ বিক্রি হয়। গতবার প্রায় ১০ হাজার গোলাপ সংগ্রহ করেছিলেন দিবসের আগে। ফুলের সরবরাহ কম। কিন্তু চাহিদা তো কমেনি। অর্থনীতির চিরাচরিত নিয়ম, সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি হলে পণ্যের দাম বাড়বে। এবার কম দামে গোলাপ পাওয়া যাচ্ছে না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। মাঠ থেকে প্রতি গোলাপের দাম ধরেছেন সাড়ে ১৪ টাকা। আগের বছর ১০ টাকার কম পড়েছিল।