প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল প্রকার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মানুষের জীবন-মান উন্নত হলে, তারা ভালো থাকলেই একটা আঘাত আসার আশংকা সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করবেন, বাংলাদেশের মানুষের যখন একটু ভালো সময় আসে, মানুষ একটু ভালো থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, জীবন-মান একটু উন্নত হয় তখনই কিন্তু একটা আঘাত আসার আশংকা থাকে। সেই কারণেই সকলকে একটু সতর্ক থাকা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই, ২০২০-জুন, ২০২৫) দলিলের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিট (একনেক)-এর সভার প্রারম্ভিক ভাষণে একথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা এ সময়, যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ পুণর্গঠন করে জাতির পিতা যখন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই দেশে ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক অধ্যায় সংঘটিত হয় বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে পা বাড়াচ্ছিলেন, দেশটা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে সেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং তার সুফলও মানুষ পেতে শুরু করেছে, মানুষ একটু খুশি এবং স্বস্তিতে, ঠিক সেই সময়ে কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনাটা ঘটলো।’
তিনি বলেন, একটা বিষয় আমি সবসময় স্মরণ করাতে চাই, যখন বাংলাদেশে একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে-জিনিষপত্রের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, ব্যাপকভাবে ফসল উৎপাদনের প্রস্তুতি এবং সেটা হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা গেছে, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ সব চালু-সবদিক থেকে মানুষ যেন একটা স্বস্তিতে ফিরে এসেছে, তখন শুধু জাতির পিতাকে হত্যা নয়, আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারালাম।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতা, জাতীয় চারনেতা, ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং মক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং নির্যাতিতা মা-বোনদের স্মরণ করে সকলকেই এ বিষয়ে একটু সতর্ক করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সকলের সহযোগিতায় তাঁর সরকারের করোনা মোকাবেলার সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘ভৌগলিক দিক থেকে ছোট হলেও জনসংখ্যার দিক থেকে বড় এই দেশে আমরা করোনা মোকাবেলা করে তাকে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলায় আমরা যেমন নির্দেশনা দিয়েছি, প্রণোদনা দিয়েছি তেমনি ভ্যাকসিন প্রদানও শুরু করেছি। যা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও এখনও আনতে পারে নাই।
তিনি ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণা চলার সময়ই এটি চালু হলে বাংলাদেশ যেন আগে পেতে পারে সেজন্য আগাম অর্থ দিয়ে বুকিং করে রেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন। কেননা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিুউএইচও) যখনই অনুমতি দেবে ভ্যাকসিনটা যাতে দেশের মানুষকে পেতে পারে, তাঁর সরকার সেটা করতে সক্ষম হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বঙ্গবন্ধু কন্যা এ সময় দেশবাসীর প্রতি পুণরায় কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, তারা ভোট দিয়েছিলেন বলেই আমরা ক্ষমতায় আসতে পেরেছি এবং তাদের সেবা করার সুযোগটা পেয়েছি।’
তাঁর সরকার, দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী এবং জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সবাই আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়াতেই দেশের কোভিড এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের অর্থনীতি আজ স্থবির। অনেক উন্নত দেশ না পারলেও বাংলাদেশ আজ ভ্যাকসিন দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছে।’
তিনি ’৭৫ পরবর্তী স্বৈরশাসনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এদেশে গণতন্ত্র কখনো অব্যাহত ভাবে চলে নাই। জাতির পিতাকে হত্যার পর একর পর এক ‘মার্শাল ল’ এবং সামরিক শাসকরা দেশ চালিয়েছে। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই দেশে চলেছে। এর সাথে অগ্নি সস্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবই আমাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে এবং এসব মোকাবেলা করেও আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছি এবং করেনাভাইরাস মোকাবেলাতেও আমরা সাফল্য অর্জন করেছি এবং করে যাচ্ছি, বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষ যথেষ্ট সচেতন বিধায় এই করোনাভাইরাসের প্রভাব আর খুব বেশি আমাদের দেশে থাকবে না। তিনি এ সময় ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষযযন্ত্র মামলা চলার সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি স্মৃতিচারণ করে সেই মামলার আসামী ও হত্যাকান্ডের শিকার সার্জেন্ট জহুরুল হকের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এর প্রতিবাদেই তিনি, বঙ্গমাতাসহ সমগ্র দেশবাসী আন্দোলনে ফেটে পড়ে এবং বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে আনে। কেননা, বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার একটা প্রারম্ভিক চেষ্টা হিসেবেই সাজেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে, বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রেহানা আর আমি সকাল থেকে বারবার শুধু সার্জেন্ট জহুরুল হকের কথাই মনে করছিলাম, এই দিনই ক্যান্টনমেন্টে তাকে হত্যা করা হয়।’ ‘কারণ তাঁকে যখন হত্যা করা হোল তখন আমরা খুব শংকিত ছিলাম যে, এর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত আসবে, আমরা বাবাকে হারাব। অবশেষে, সেই আঘাতটা আসলো ১৫ আগস্ট। কিন্তু সেই দিন গণমানুষের যে স্রােত, সেজন্য বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো আইয়ুব খান, তার পতনও হলো, ’ বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আগেই আমরা অনুমোদন দিয়েছিলাম আর আজকে আমরা তার মোড়ক উন্মোচন করলাম। যার বাস্তবায়নও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তিনি ভাষার মাসে সকল ভাষা শহীদকে স্মরণ করে বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করাতে বছরের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু স্মৃতি আমাদের রয়ে গেছে। কাজেই, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাক, সুস্থ থাক এবং স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এটাই আমাদের একমাত্র কামনা।
দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্কে সংযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ণের লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, একনেকে ১৯ হাজার ৮৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৬ হাজার ৫৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে ঋণ পাওয়া যাবে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৬টি নতুন প্রকল্প ও ৩টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর সেখানে টোল আদায় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সড়ক ও মহাসড়কের রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় কাজ নিশ্চিত করতে ‘ইয়ারমার্ক একাউন্ট’ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। মান্নান বলেন, টোল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধি ও নির্দেশনা হলো দেশবাসীকে কোন অর্থ পরিশোধ ছাড়াই পরিষেবা গ্রহণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মহাসড়ক থেকে টোল আদায়ে পুনঃনির্দেশ দেন। এছাড়া, তিনি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটের মত মহাসড়কগুলোতে প্রয়োজনীয় রেস্ট হাউস, ওয়াশরুমসহ কফি শপ, মহিলাদের জন্য আলাদা রুম করার নির্দেশ দেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর নেপাল, ভারত, মায়ানমার ও চীনের সাথে সড়ক যোগাযোগ তৈরি করবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে পূর্বের সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্প ব্যয়ের ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের নিকট থেকে ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে। বাকী ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়ে গেলে দেশের সড়ক যোগাযোগ এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক, বিমসটেক করিডোর, সার্ক করিডোর এবং আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবে।
প্রকল্পের মূল কাজের মধ্যে রয়েছে-মাটির কাজ ২৪৫ দশমিক ৪২ লাখ ঘনমিটার, ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট নির্মাণ ৭২ দশমিক ৭৩ লাখ ঘনমিটার, সার্ভিস লেনে কংক্রিট পেভমেন্ট ২ দশমিক ৯২ লাখ ঘনমিটার, ৩০৫টি কালভার্ট নির্মাণ, ৬৬টি সেতু নির্মাণ, ৭টি ফ্লাইওভার বা ওভারপাস ও ৬টি রেল ওভারব্রিজ নির্মাণ, ২৬টি ফুটওভার ব্রিজ, সাইন, সিগন্যাল, রোড মার্কিং, ডিভাইডার, মিডিয়ান, গার্ডরেল, নালা ইত্যাদি ২০৭.৬৩ কিলোমিটার নির্মাণ।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের শুরুতে ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার চূড়ান্ত মুদ্রিত সংস্করণটির মোড়ক উন্মোচন করেন। তিনি কোভিড অতিমারির সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তুত কার্যক্রম সচল রাখায় পরিকল্পনা কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। এক প্রশ্নের উত্তরে মান্নান বলেন, সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর প্রকল্প অর্থনীতিতে দারুণ প্রভাব ফেলবে। এই প্রকল্পের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষ ক্ষতিপূরণ পাবেন। একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বিটিসিএল-এর ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ বেতার, সিলেট কেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ডিজিটিাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন ১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (১ম পর্যায়)’, ‘চট্টগ্রাম জেলাধীন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় হালদা নদীর উভয় তীরের ভাঙ্গন হতে বিভিন্ন এলাকা রক্ষাকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলাধীন দৌলতখান পৌরসভা ও চকিঘাট এবং অন্যান্য অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা’ প্রকল্প। এছাড়া, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প এবং ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্প।