মাদারীপুরের রাজৈরে ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রস্তুতি সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল, কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রাজৈর উপজেলায় একুশে ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন উপ-কমিটি( সরকারি) ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আঃ লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শাজাহান খান এমপির সমর্থক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের সর্মথকদের মাঝে এ হট্টগোল, কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।পরে অবশ্যে স্থানীয় ইউএনও -এর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। দলীয় সুত্র জানায় (১৫ ফেব্রুয়ারি) সোমবার বিকাল চারটায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভায় আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল, কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর- ২ আসনের সাংসদ প্রতিনিধি আ ফ ম ফুয়াদ, ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো জমির উদ্দিন খান,সাবেক মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার সেকান্দার আলী শেখ, পৌর আঃ লীগের আহবায়ক মতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক বাবুল,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার।আসন্ন শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিসভার আয়োজন করা হয়।মূলত রাজৈর উপজেলায় ছাত্রলীগের বিবাদমান দুটি কমিটি রয়েছে।একটি আঃ লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শাজাহান খান এমপির অনুসারী অপরটি আঃ লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম অনুসারী।বিবাদমান এই দুই কমিটির ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করাকে কেন্দ্র করেই আগাম হট্টগোল ও হাতাহাতির সৃষ্টি হয়।
এর আগেও গতবছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাজাহান খান এমপি’র অনুসারী ছাত্রলীগের কমিটিকে ভূয়া বলে স্লোগান দেয় ঐ কমিটির ছাত্রলীগ, তখন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ-সম্পাদক (আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম অনুসারী) জমির উদ্দিন বলেন, প্রস্তুতি সভায় হট্টগোলের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বিবাদমান রাজৈরে উপজেলা ছাত্রলীগের দুই কমিটির মধ্যে যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান তা ভবিষ্যতে খুবই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।তাই আমি মনে করি,উভয় গ্রুপের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টির সমাধান করা অতি জরুরি। উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি (শাজাহান খান এমপি অনুসারী) সাহাবুদ্দিন সাহা বলেন, গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় যৌথ সভায় ছাত্রলীগ ও কৃষক লীগের একাধিক কমিটি থাকার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এসময় আলোচনার এক পর্যায়ে আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ-সম্পাদকের সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।দলীয় ফোরাম অনুসারে সভার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বল্লে , ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তা উপেক্ষা করেন।ফলে সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গঠনতন্ত উপেক্ষা করে সভা পরিচালনা করে। অনেকের মতে তারই ফলশ্রুতিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আনিসুজ্জামান বলেন,২১ শে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠন, সামাজিক সংগঠন এবং সাংবাদিকের নিয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।এসময় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
যা অনাকাক্সিক্ষত। রাজৈর থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি যদিও দলীয় ফোরামের তবুও আমরা একুশে ফেব্রুয়ারির দিন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখবো।
প্রস্তুতি সভার একপর্যায়ে ইউএনও ও স্থানীয় আঃ লীগের নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয়।পরে রাজৈর উপজেলায় ছাত্রলীগের যে দুটি কমিটি রয়েছে তারা একুশে ফেব্রুয়ারির দিন উভয় পক্ষেই পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবে বলে একমত পোষণ করে।
০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
রাজৈরে আ:লীগের দু’গ্রুপে হট্টগোল
-
টুটুল বিশ্বাস, রাজৈর
- প্রকাশিত : ১২:০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- 73
ট্যাগ :
জনপ্রিয়