০২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

টিকা উৎপাদন সহজ হলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিবালয় প্রান্তে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ছবি : পিআইডি।

 

নতুন আবিষ্কৃত টিকার প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন টিকা উৎপাদন আরো সহজ করতে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠার চুক্তিতে অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ২৮ অক্টোবর ইউএনডিপির উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে একটি আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার চুক্তি হয়, যেখানে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু সেই ইনস্টিটিউটের পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য আমাদের কেবিনেটের অনুমোদনের দরকার, সেজন্য এ প্রস্তাব তোলা হয়েছিল, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, এটা যদি আমরা করি, তাহলে আমাদের বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং এ সম্পর্কিত গবেষণা কাজে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা পাওয়া যাবে। এতে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। ভ্যাকসিন উৎপাদন, প্রয়োগ ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরো যুগোপযোগী হবে। নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদন সহজতর হবে। ফলে দেশে স্বল্পমূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আর ভ্যাকসিন রপ্তানির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগ্যতা অর্জনের পথও আমাদের সুগম হবে, যা বিদেশে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের যেহেতু ফার্মাসিটিক্যালস উৎপাদন ও মান মোটামুটি মানসম্মত, যা বিশ্বে প্রমাণিত। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই বা দ্রুত এগুলো অর্জন করতে পারব। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এটা আরো বেশি প্রয়োজন বলে অনুভূত হয়েছে।
আমাদের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে, সে বিষয়েও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, গ্লোব বায়োটেক এখনও তো ট্রায়াল শেষ করেনি। এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে কেবিনেটে। তারা যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে করতে পারে, তাহলে তারা ট্রায়াল করবে, তারপর দেখা যাবে। আইভিআই এর চুক্তিতে অনুসমর্থন না করলে দেশে টিকা তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল কিনা তা জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না না এতে কোনো সমস্যা না। ধরেন ফাইজারের সাথে যদি কেউ চুক্তি করে, অরজিনাল চুক্তিতো ফাইজারের। এখন ফাইজার যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে, তাদের সকল প্রোটকল অনুযায়ী, তাহলে আর ওই চুক্তি লাগে না। তবে নতুন করে বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান, যেমন গ্লোব বায়োটেক যদি কোনো প্রডাক্ট এখান থেকে প্রডিউস করতে চায়, তাহলে আমাদের চুক্তির অধীনে শর্ত মানতে হবে
পেটেন্ট না মানার শাস্তি বাড়ছে: পেটেন্ট (স্বত্ব) না মানার শাস্তি বাড়ছে। শাস্তি বাড়িয়ে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২১’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন ছিল ১৯১১ সালের। সেটা দিয়েই চলছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জটিলতার জন্য…এত বেশি ডাইভারসিফিকেশন এবং স্পেশালাইজেশন হয়ে গেছে যে একটা আইনে দুইটা কাভার করেছিল না। পরের ২০১৬ সালে এই আইনটিকে দুই ভাগ করে একটা পেটেন্ট আইন, আরেকটি ডিজাইন আইনের খসড়া করা হয়েছিল। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আইনটি আনা হয়েছে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী বিষয় বিদ্যমান থাকলে প্রযুক্তিগত যেকোনো পণ্য উদ্ভাবনী পেটেন্ট যোগ্য হবে। এটা আইনের মধ্যে বিধান রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্দি পদ্ধতিতে কোনো একটি পেটেন্টের একক বা যৌথ উদ্ভাবনকে আবেদনের ফলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উদ্ভাবকরা যৌথ উদ্ভাবকের পেটেন্টের সুরক্ষা দেয়া হবে।’ ‘খসড়া আইন অনুযায়ী, পেটেন্ট মালিক ২০ বছরের জন্য পেটেন্ট রাইট পাবেন। ২০ বছর পর এটা পাবলিক সম্পদ হয়ে যাবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ক্ষেত্রে যদি জেনেটিক রিসোর্সের অবৈধ ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে পেটেন্ট হস্তান্তর করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেয়া যাবে। পেটেন্ট বাতিল এবং অধিকার কার্যকর করার বিধান এই আইনে আছে। এই আইনে যেসব মামলা-মোকাদ্দমা হবে সেগুলো সিভিল ন্যাচারের হবে। সিভিল কোর্ট এগুলো হ্যান্ডেল করবে। কেউ যদি চিটিং করে সেগুলো তো আলাদা, সেগুলো পেনাল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আদেশ পালনে কেউ যদি ব্যর্থ হয় তারা সুপারিশ করেছিলেন ২০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ। এটাকে পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখে উন্নীত করে দেয়া হয়েছে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনের অধীনে এখানে একটা রেজিস্টারের দফতর থাকবে। এই ব্যবস্থার দফতর থেকে সবাই রেজিস্ট্রেশন করবে। একইসঙ্গে সুপারভিশন ও মনিটরিং করা হবে। এই রেজিস্টার ডিজাইনের আইনেরও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অধিদফতর হিসেবে কাজ করবে।’
বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন : বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২১’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের আইনের অধীনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদফতর ছিল, সেটা বহাল থাকবে। এই অধিদফতরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এই আইনের অধীনে শিল্প-নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, ‘আইনের অধীনে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি প্রদান সাপেক্ষে শিল্প-নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। কারও যদি এক্সক্লুসিভ এক্সট্রাঅর্ডিনারি কোনো রকম থাকে তাহলে সে দরখাস্ত দিলে তাকে আরও পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হবে। আগের আইনের মধ্যে এটা ছিল না।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুকূলের যদি শিল্প-নকশা নিবন্ধিত হয় অন্যকে প্রতারণামূলকভাবে যদি ব্যবহার করে তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবে সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার রেজুলেশন অনুযায়ী এই দুটি আইন করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

টিকা উৎপাদন সহজ হলো

প্রকাশিত : ১২:০১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

 

নতুন আবিষ্কৃত টিকার প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন টিকা উৎপাদন আরো সহজ করতে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠার চুক্তিতে অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ২৮ অক্টোবর ইউএনডিপির উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে একটি আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার চুক্তি হয়, যেখানে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু সেই ইনস্টিটিউটের পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য আমাদের কেবিনেটের অনুমোদনের দরকার, সেজন্য এ প্রস্তাব তোলা হয়েছিল, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, এটা যদি আমরা করি, তাহলে আমাদের বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং এ সম্পর্কিত গবেষণা কাজে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা পাওয়া যাবে। এতে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। ভ্যাকসিন উৎপাদন, প্রয়োগ ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরো যুগোপযোগী হবে। নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদন সহজতর হবে। ফলে দেশে স্বল্পমূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আর ভ্যাকসিন রপ্তানির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগ্যতা অর্জনের পথও আমাদের সুগম হবে, যা বিদেশে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের যেহেতু ফার্মাসিটিক্যালস উৎপাদন ও মান মোটামুটি মানসম্মত, যা বিশ্বে প্রমাণিত। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই বা দ্রুত এগুলো অর্জন করতে পারব। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এটা আরো বেশি প্রয়োজন বলে অনুভূত হয়েছে।
আমাদের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে, সে বিষয়েও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, গ্লোব বায়োটেক এখনও তো ট্রায়াল শেষ করেনি। এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে কেবিনেটে। তারা যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে করতে পারে, তাহলে তারা ট্রায়াল করবে, তারপর দেখা যাবে। আইভিআই এর চুক্তিতে অনুসমর্থন না করলে দেশে টিকা তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল কিনা তা জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না না এতে কোনো সমস্যা না। ধরেন ফাইজারের সাথে যদি কেউ চুক্তি করে, অরজিনাল চুক্তিতো ফাইজারের। এখন ফাইজার যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে, তাদের সকল প্রোটকল অনুযায়ী, তাহলে আর ওই চুক্তি লাগে না। তবে নতুন করে বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান, যেমন গ্লোব বায়োটেক যদি কোনো প্রডাক্ট এখান থেকে প্রডিউস করতে চায়, তাহলে আমাদের চুক্তির অধীনে শর্ত মানতে হবে
পেটেন্ট না মানার শাস্তি বাড়ছে: পেটেন্ট (স্বত্ব) না মানার শাস্তি বাড়ছে। শাস্তি বাড়িয়ে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২১’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন ছিল ১৯১১ সালের। সেটা দিয়েই চলছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জটিলতার জন্য…এত বেশি ডাইভারসিফিকেশন এবং স্পেশালাইজেশন হয়ে গেছে যে একটা আইনে দুইটা কাভার করেছিল না। পরের ২০১৬ সালে এই আইনটিকে দুই ভাগ করে একটা পেটেন্ট আইন, আরেকটি ডিজাইন আইনের খসড়া করা হয়েছিল। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আইনটি আনা হয়েছে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী বিষয় বিদ্যমান থাকলে প্রযুক্তিগত যেকোনো পণ্য উদ্ভাবনী পেটেন্ট যোগ্য হবে। এটা আইনের মধ্যে বিধান রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্দি পদ্ধতিতে কোনো একটি পেটেন্টের একক বা যৌথ উদ্ভাবনকে আবেদনের ফলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উদ্ভাবকরা যৌথ উদ্ভাবকের পেটেন্টের সুরক্ষা দেয়া হবে।’ ‘খসড়া আইন অনুযায়ী, পেটেন্ট মালিক ২০ বছরের জন্য পেটেন্ট রাইট পাবেন। ২০ বছর পর এটা পাবলিক সম্পদ হয়ে যাবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ক্ষেত্রে যদি জেনেটিক রিসোর্সের অবৈধ ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে পেটেন্ট হস্তান্তর করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেয়া যাবে। পেটেন্ট বাতিল এবং অধিকার কার্যকর করার বিধান এই আইনে আছে। এই আইনে যেসব মামলা-মোকাদ্দমা হবে সেগুলো সিভিল ন্যাচারের হবে। সিভিল কোর্ট এগুলো হ্যান্ডেল করবে। কেউ যদি চিটিং করে সেগুলো তো আলাদা, সেগুলো পেনাল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আদেশ পালনে কেউ যদি ব্যর্থ হয় তারা সুপারিশ করেছিলেন ২০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ। এটাকে পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখে উন্নীত করে দেয়া হয়েছে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনের অধীনে এখানে একটা রেজিস্টারের দফতর থাকবে। এই ব্যবস্থার দফতর থেকে সবাই রেজিস্ট্রেশন করবে। একইসঙ্গে সুপারভিশন ও মনিটরিং করা হবে। এই রেজিস্টার ডিজাইনের আইনেরও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অধিদফতর হিসেবে কাজ করবে।’
বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন : বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২১’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের আইনের অধীনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদফতর ছিল, সেটা বহাল থাকবে। এই অধিদফতরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এই আইনের অধীনে শিল্প-নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, ‘আইনের অধীনে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি প্রদান সাপেক্ষে শিল্প-নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। কারও যদি এক্সক্লুসিভ এক্সট্রাঅর্ডিনারি কোনো রকম থাকে তাহলে সে দরখাস্ত দিলে তাকে আরও পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হবে। আগের আইনের মধ্যে এটা ছিল না।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুকূলের যদি শিল্প-নকশা নিবন্ধিত হয় অন্যকে প্রতারণামূলকভাবে যদি ব্যবহার করে তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবে সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার রেজুলেশন অনুযায়ী এই দুটি আইন করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।