০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

তহবিল গঠনের চেষ্টায় মিয়ানমার

 

মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেশে ফিরিয়ে নিতে চান। দেশটির জান্তা সরকারের নিয়োগ দেয়া এক লবিস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইসরায়েলি-কানাডিয়ান লবিস্ট বেন-মানাশে জানান, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সামরিক সরকার। তিনি বলেন, তারা যাকে বলে বাঙালিদের ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু তহবিল যোগাড়ের চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের কিছু ব্যক্তি দাবি করে থাকেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়, বাংলাদেশের নাগরিক। তাই এ বিষয়টিতে জোর দিতে রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে উল্লেখ করেন তারা। বেন-মানাশে আরও জানান, মিয়ানমারের জেনারেলরা তাকে ও তার প্রতিষ্ঠান ‘ডিকেন্স অ্যান্ড ম্যাডসন কানাডা’কে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগে সহায়তা করতে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির বদলে পশ্চিম ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আগাতে তারা জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা চীনের পুতুল হতে চান না। বেন-মানাশে এর আগে ইসরায়েলি সামরিক ইন্টেলিজেন্সে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ও সুদানের সামরিক শাসকদের লবিস্ট হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের সপ্তাহখানেক পর টেলিভিশনে দেয়া প্রথম ভাষণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অঙ্গ হ্লেইং বলেছিলেন, নিয়ম মেনে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। যদিও সেই বক্তব্যে একবারও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি তিনি উচ্চারণ করেননি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

তহবিল গঠনের চেষ্টায় মিয়ানমার

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১

 

মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেশে ফিরিয়ে নিতে চান। দেশটির জান্তা সরকারের নিয়োগ দেয়া এক লবিস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইসরায়েলি-কানাডিয়ান লবিস্ট বেন-মানাশে জানান, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সামরিক সরকার। তিনি বলেন, তারা যাকে বলে বাঙালিদের ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু তহবিল যোগাড়ের চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের কিছু ব্যক্তি দাবি করে থাকেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়, বাংলাদেশের নাগরিক। তাই এ বিষয়টিতে জোর দিতে রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে উল্লেখ করেন তারা। বেন-মানাশে আরও জানান, মিয়ানমারের জেনারেলরা তাকে ও তার প্রতিষ্ঠান ‘ডিকেন্স অ্যান্ড ম্যাডসন কানাডা’কে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগে সহায়তা করতে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির বদলে পশ্চিম ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আগাতে তারা জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা চীনের পুতুল হতে চান না। বেন-মানাশে এর আগে ইসরায়েলি সামরিক ইন্টেলিজেন্সে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ও সুদানের সামরিক শাসকদের লবিস্ট হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের সপ্তাহখানেক পর টেলিভিশনে দেয়া প্রথম ভাষণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অঙ্গ হ্লেইং বলেছিলেন, নিয়ম মেনে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। যদিও সেই বক্তব্যে একবারও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি তিনি উচ্চারণ করেননি।