লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও রামগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে পৃথক অগ্নিকা-ে ৭০ দোকান ও দুটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে রামগঞ্জের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিঘা গ্রামে দুটি ঘর পুড়ে ঘুমিয়ে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী মায়া আক্তার (৪৭) দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। রামগতি পৌরসভার আলেকজান্ডার বাজারের ছোটবড় ৭০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ রবিবার ভোরে অগ্নিকা-ের ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
রামগতি উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস বিভাগ জানায়, ভোর রাতে আলেকজান্ডার বাজারের তাহেরর চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। দোকানঘরগুলো কাঠ ও টিনের হওয়ায় মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মুদি, কাপড়, সেলুন, ইলেক্ট্রনিক্স, স্বর্ণকার ও কাঁচাবাজার ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে। লক্ষ্মীপুর ও রামগতি ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই আসবাবপত্রসহ দোকানঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। এতে প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহযোগিতা করা হবে। সাময়িকভাবে পরিবারকে নিয়ে চলার মতো আরো কিছু সহযোগিতা করা হবে।
রামগতির ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ খোকন মজুমদার বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রামগতির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল মোমিন বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায়। জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবিহিত করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে রামগঞ্জের পূর্ব বিঘা গ্রামের কুতুব উল্যাহ বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে কামাল উদ্দিন ও মফিজ খানের দুটি ঘরে আগুন লেগে যায়। মুহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরআগেই আসবাবপত্রসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে ঘুমিয়ে থাকা মফিজের বোন মানসিক প্রতিবন্ধী মায়াও আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান। ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবারগুলো।রামগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ আবদুর রশিদ বলেন, বৈদ্যুতিক শর্সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে দগ্ধ হয়ে মায়া আক্তার নামে একজন মারা গেছেন। আসবাবপত্র ও ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা বলেন, ঘুমিয়ে থাকা মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক। অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে। দ্রুত তাদেরকে প্রশাসনিকভাবে সহায়তা করা হবে।