কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে কৃষক তাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদ- ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ মার্চ) জেলার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম এ রায় প্রদান করেন। একইসঙ্গে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে আর্থিক জরিমানার আদশে দিয়েছেন বিচারক।
রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি এবং যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত ১১ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত ২ আসামি পলাতক ছিলেন। এ ছাড়া এক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলা শিশু আদালতে বিচারাধীন।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন কটিয়াদীর কোদালাটিয়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে মো. সাইকুল ইসলাম ও ভবানিপুর গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে গোলাপ মিয়া।
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন মিজান, হামিদ, রহিম, ছাইদু, বাদল মিয়া, মোসত্মফা, রায়হান, হাবিব, ফারুক, জলে বেগম, আনিছা বেগম, হেনা বেগম, সোহেল। তারা সবাই নিহত কৃষক তাজুল ইসলামের প্রতিবেশী ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী জেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি দুপুরে সিদলচর খালের উত্তর পাশে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাজুলের ওপর হামলা চালান। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
ওই ঘটনায় নিহত তাজুলের মেয়ে মালা বেগম বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কটিয়াদী থানার পরিদর্শক (ওসি) ফরিদ আহমেদ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।