০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার

নরসিংদীর মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদ পারাপার হতে গিয়ে পানিতে পরে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে শুকুন্দী ইউনিয়নের দীঘাকান্দী ফরাজী বাড়ি সংলগ্ন নদে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুজন হলেন মো. জাকারিয়া ফরাজী (৪৫) ও তার ছেলে মো. সাজিদ ফরাজী (৭)। স্থানীয়রা জানান, নদের ওপারে তাদের কৃষি জমি রয়েছে। সেখানে প্রতিদিনই কাজ করতে যান জাকারিয়া। নদ পারাপারের জন্য কলা গাছের ভেলা ব্যবহার করতেন। শুক্রবার ১১টার দিকে জমিতে কাজ করার জন্য ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভেলা দিয়ে নদী পার হচ্ছিলেন। মাঝ নদীতে গিয়ে ভেলা থেকে পড়ে যায় সাজিদ। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে ভেলা ছেড়ে পানিতে ঝাঁপ দেন জাকারিয়া। পরে দুজনই পানিতে তলিয়ে যায়। ওই সময় পাড়ে কেউ না থাকায় তা দেখেনি। দীর্ঘক্ষণ পর দূর থেকে এক ব্যক্তি নদীতে কাউকে হাবুডুবু খেতে দেখে চিৎকার দেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে বাবা ও ছেলেকে পানি থেকে তুলে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। মনোহরদী থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নদীতে ডুবে বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগ :

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আপিল বিভাগের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার

প্রকাশিত : ১২:৫১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১

নরসিংদীর মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদ পারাপার হতে গিয়ে পানিতে পরে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে শুকুন্দী ইউনিয়নের দীঘাকান্দী ফরাজী বাড়ি সংলগ্ন নদে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুজন হলেন মো. জাকারিয়া ফরাজী (৪৫) ও তার ছেলে মো. সাজিদ ফরাজী (৭)। স্থানীয়রা জানান, নদের ওপারে তাদের কৃষি জমি রয়েছে। সেখানে প্রতিদিনই কাজ করতে যান জাকারিয়া। নদ পারাপারের জন্য কলা গাছের ভেলা ব্যবহার করতেন। শুক্রবার ১১টার দিকে জমিতে কাজ করার জন্য ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভেলা দিয়ে নদী পার হচ্ছিলেন। মাঝ নদীতে গিয়ে ভেলা থেকে পড়ে যায় সাজিদ। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে ভেলা ছেড়ে পানিতে ঝাঁপ দেন জাকারিয়া। পরে দুজনই পানিতে তলিয়ে যায়। ওই সময় পাড়ে কেউ না থাকায় তা দেখেনি। দীর্ঘক্ষণ পর দূর থেকে এক ব্যক্তি নদীতে কাউকে হাবুডুবু খেতে দেখে চিৎকার দেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে বাবা ও ছেলেকে পানি থেকে তুলে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। মনোহরদী থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নদীতে ডুবে বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।