খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান বলেছেন, করোনা ভাইরাস একটি বোমার মতো, বিষ্ফোরকের মতো। একজন করোনা ভাইরাস রোগী হেঁটে যাবে তার আশে-পাশে যারা থাকবে বা যারা তার সংষ্পর্ষে আসবে তারা সবাই আক্রান্ত হবে। এ কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের জন্য মাস্ক পরা অপরিহার্য। শুধু তাই নয়, প্রত্যেককে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। আমরা কেউ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবো না।
তিনি বলেন গত বছর ঠিক এই সময় করোনা মহামারী আস্তে আস্তে বেড়ে যাচ্ছিলো। সদাসয় সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে আমরা করোনা মোকাবেলা করতে পেরেছেলাম। এমনকি বিশে^র যে কয়টি দেশ করোনা মোকাবেলায় প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশও তার মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। যার সফলতা অনেক বেশী।
তিনি বলেন এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার আবারো বেড়ে গেছে। আমাদের সাধারণ মানুষের মাঝেও একটা গাছাড়া ভাব তৈরি হয়েছে। একারণে ২১ মার্চ থেকে দেশব্যাপী বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেকটি ইউনিট, প্রতিটি সদস্য মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাঠে নেমেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে পূর্ব রূপসা ঘাটে ‘মাস্ক পরার অভ্যাস কোভিড মুক্ত বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে খুলনা জেলা পুলিশ আয়োজিত মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশররফ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজু আহমেদ, ওসি তদন্ত সিরাজুল ইসলাম, মো. আবু জাফর, শ্যামা প্রসাদ মন্ডল, ইলিয়াজ রহমান, দিপক কুমার, শাহবুদ্দীন গাজী, বাবলা দাস, খবির উদ্দীন, ব্রজ কিশোর পাল, মো. কামরুজ্জামান, মো ইরান হোসেন, মো. আসাদুজ্জামান, পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো, কামরুল ইসলাম, এএসআই খন্দকার হুমায়ুন, আবুল বাশার, নৈহাটী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, রূপসা চিংড়ি বনিক সমিতিরি সভাপতি আব্দুল মান্নান শেখ, আব্দুল গফুর খান, ফরিদ উদ্দীন, হারুন মোল্লা, সাইফুল ইসলাম ও মো. হায়দার প্রমূখ।