১১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

কৃষকের বুক জুড়িয়ে দিচ্ছে ধানক্ষেত

মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় শুধুই বোরো ক্ষেত। মাঠের পর মাঠ ধানক্ষেত কৃষকের বুক জুড়িয়ে দিচ্ছে।
চলতি মৌসুমে পশ্চিমের ৬ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। আগাম চাষ করা ধান ক্ষেত গুলোতে শীষ বের হতে শুরু করেছে। বাকি ক্ষেতগুলো থোর অবস্থায় রয়েছে। মাস খানেকের মধ্যে আগাম বোরো ধান কাটা শুরু হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার যশোরে এক লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৫ হেক্টর, ঝিনাইদহে ৮০ হাজার ২৮৪ হেক্টর, মাগুরায় ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর, চুয়াডাঙ্গায় ৩৫ হাজার ৭৪০ হেক্টর, মেহেরপুরে ১৯ হাজার ১০০ হেক্টর ও কুষ্টিয়ায় ৩৫ হাজার ১৩৬ হেক্টর বোরো চাষ হয়েছে।

৬ জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে।

ধানের দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা বোরো চাষে ঝুঁকেছে। এখন পর্যন্ত বোরো ক্ষেতের অবস্থা ভাল বলে চাষিরা জানান। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ বেশি লাগছে। এতে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বোড়াই গ্রামের কৃষক আফন উদ্দীন জানান, তিনি এবার আড়াই বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। ধান থোর অবস্থায় আছে। তাদের এলাকায় বোরোর অবস্থা ভালো।

মেহেরপুর সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের চাষি জিয়াউর রহমান জানান, সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। মাঝে হালকা পোকার আক্রমণ হয়েছিল। এখন নেই। ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে। ফসলের অবস্থা ভালো। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ খরচ বেশি লাগছে। সেচ যন্ত্রের মালিকরা বিঘা প্রতি সেচ দিতে সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহেদুল আমিন জানান, এবার পশ্চিমের জেলাগুলোতে বোরো ধানের অবস্থা ভালো। আগাম চাষকৃত ধানে শীষ বের হয়েছে। এক মাসের মধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হবে।

ট্যাগ :

দুদকের ২ উপপরিচালক বরখাস্ত

কৃষকের বুক জুড়িয়ে দিচ্ছে ধানক্ষেত

প্রকাশিত : ১২:০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় শুধুই বোরো ক্ষেত। মাঠের পর মাঠ ধানক্ষেত কৃষকের বুক জুড়িয়ে দিচ্ছে।
চলতি মৌসুমে পশ্চিমের ৬ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। আগাম চাষ করা ধান ক্ষেত গুলোতে শীষ বের হতে শুরু করেছে। বাকি ক্ষেতগুলো থোর অবস্থায় রয়েছে। মাস খানেকের মধ্যে আগাম বোরো ধান কাটা শুরু হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার যশোরে এক লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৫ হেক্টর, ঝিনাইদহে ৮০ হাজার ২৮৪ হেক্টর, মাগুরায় ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর, চুয়াডাঙ্গায় ৩৫ হাজার ৭৪০ হেক্টর, মেহেরপুরে ১৯ হাজার ১০০ হেক্টর ও কুষ্টিয়ায় ৩৫ হাজার ১৩৬ হেক্টর বোরো চাষ হয়েছে।

৬ জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে।

ধানের দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা বোরো চাষে ঝুঁকেছে। এখন পর্যন্ত বোরো ক্ষেতের অবস্থা ভাল বলে চাষিরা জানান। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ বেশি লাগছে। এতে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বোড়াই গ্রামের কৃষক আফন উদ্দীন জানান, তিনি এবার আড়াই বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। ধান থোর অবস্থায় আছে। তাদের এলাকায় বোরোর অবস্থা ভালো।

মেহেরপুর সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের চাষি জিয়াউর রহমান জানান, সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। মাঝে হালকা পোকার আক্রমণ হয়েছিল। এখন নেই। ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে। ফসলের অবস্থা ভালো। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ খরচ বেশি লাগছে। সেচ যন্ত্রের মালিকরা বিঘা প্রতি সেচ দিতে সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহেদুল আমিন জানান, এবার পশ্চিমের জেলাগুলোতে বোরো ধানের অবস্থা ভালো। আগাম চাষকৃত ধানে শীষ বের হয়েছে। এক মাসের মধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হবে।