১২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

শিলাবৃষ্টিতে সর্বস্বান্ত ২০ গ্রামের কৃষক

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জালধরা, কালিজানি, মেধাসহ বেশ কয়েকটি হাওরের বোরো জমিতে শিলাবৃষ্টির কারণে বাদশাগঞ্জ ও পাইকুরাটি, ধর্মপাশা ও সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচ হাজার কৃষকের জমির ধান ঝরে পড়ে গেছে। দুটি ইউনিয়নের সলব, ভাটাপাড়া, নুতনপাড়া, বৌলাম, সরিশ্যাম, গাভী, মির্জাপুর, নওধার, ঝিংলিগড়া, কান্দুরিসহ ২০টি গ্রামের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাদশাগঞ্জ ইউনিয়নের গাভী গ্রামের কৃষক রহমত আলী বলেন, এক রাতের পাঁচ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে আমাদের জমির পাকা ধান ঝরে গেছে। আমার মতো শতশত কৃষকের জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান বলেন, কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টি কৃষকদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। জমির পাকা ধান এখন মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
বৌলাম গ্রামের আব্দুল কাঈয়ুম বলেন, যেভাবে শিলাবৃষ্টি হয়েছে জমিতে আর কাচি লাগানো যাবে না। সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। জমিতে ধান নেই আছে শুধু গাছ। উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন বাদশাগঞ্জ ও পাইকুরাটি এবং ধর্মপাশা উপজেলা সদরে হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করার কাজ করছে। ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, রাতে পাঁচ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে পাট ও পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

শিলাবৃষ্টিতে সর্বস্বান্ত ২০ গ্রামের কৃষক

প্রকাশিত : ১২:৩১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জালধরা, কালিজানি, মেধাসহ বেশ কয়েকটি হাওরের বোরো জমিতে শিলাবৃষ্টির কারণে বাদশাগঞ্জ ও পাইকুরাটি, ধর্মপাশা ও সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচ হাজার কৃষকের জমির ধান ঝরে পড়ে গেছে। দুটি ইউনিয়নের সলব, ভাটাপাড়া, নুতনপাড়া, বৌলাম, সরিশ্যাম, গাভী, মির্জাপুর, নওধার, ঝিংলিগড়া, কান্দুরিসহ ২০টি গ্রামের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাদশাগঞ্জ ইউনিয়নের গাভী গ্রামের কৃষক রহমত আলী বলেন, এক রাতের পাঁচ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে আমাদের জমির পাকা ধান ঝরে গেছে। আমার মতো শতশত কৃষকের জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান বলেন, কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টি কৃষকদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। জমির পাকা ধান এখন মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
বৌলাম গ্রামের আব্দুল কাঈয়ুম বলেন, যেভাবে শিলাবৃষ্টি হয়েছে জমিতে আর কাচি লাগানো যাবে না। সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। জমিতে ধান নেই আছে শুধু গাছ। উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন বাদশাগঞ্জ ও পাইকুরাটি এবং ধর্মপাশা উপজেলা সদরে হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করার কাজ করছে। ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, রাতে পাঁচ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে পাট ও পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।