০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

কুমিল্লায় অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

কুমিল্লায় পলিটেকনিকের ছাত্র জালাল হোসেন ও মাসুদ রানা নামে এক কিশোরসহ দুজনকে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র। এ ঘটনায় র‌্যাব কুমিল্লার একটি দল অভিযান পরিচালনা করে গতকাল ভোররাতে অপহূতদের উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের এক নারীসহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে।

 

অপহূত জালাল হোসেন জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নাটেহর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে এবং মাসুদ রানা একই বাড়ির আবদুল জব্বারের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা হলো কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের রিনা আক্তার (৪০), শংকরপুর গ্রামের শাহপরান (১৯) ও বুড়িচং উপজেলার এতবারপুর গ্রামের শরীফ ইসলাম (২২)।

 

গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।র‌্যাব জানায়, কুমিল্লা সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জালাল হোসেন (২২) ও তার চাচাতো ভাই মাসুদ রানা (১৬) মোবাইল ফোন কিনতে রোববার দুপুরে বাড়ি থেকে কুমিল্লা শহরে আসে। মোবাইল না কিনে তারা টমছমব্রিজ থেকে সিএনজিযোগে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় কোটবাড়ী সড়কে পৌঁছলে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র তাদের বহনকারী সিএনজির পথরোধ করে এবং মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তাদের সিএনজি থেকে নামিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাদের আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর এলাকায় চক্রের নারী সদস্য রিনা আক্তারের ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন চালায় এবং ৫০ হাজার টাকা করে দুজনের স্বজনদের কাছে বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের অপহরণ-মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি অপহূত মাসুদ রানার ভাই কাইয়ুম হোসেন র‌্যাবকে জানালে রাত ১০টার দিকে অপহূতদের উদ্ধারে অভিযানে মাঠে নামে র‌্যাব।

 

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, সোমবার ভোররাতে অপহূতদের উদ্ধার করে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় এবং চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারসহ তাদের কাছ থেকে দুটি চাকু, ১৩ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে কাইয়ুম হোসেন বাদী হয়ে গতকাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

ট্যাগ :

দুদকের ২ উপপরিচালক বরখাস্ত

কুমিল্লায় অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশিত : ১২:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১

কুমিল্লায় পলিটেকনিকের ছাত্র জালাল হোসেন ও মাসুদ রানা নামে এক কিশোরসহ দুজনকে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র। এ ঘটনায় র‌্যাব কুমিল্লার একটি দল অভিযান পরিচালনা করে গতকাল ভোররাতে অপহূতদের উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের এক নারীসহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে।

 

অপহূত জালাল হোসেন জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নাটেহর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে এবং মাসুদ রানা একই বাড়ির আবদুল জব্বারের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা হলো কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের রিনা আক্তার (৪০), শংকরপুর গ্রামের শাহপরান (১৯) ও বুড়িচং উপজেলার এতবারপুর গ্রামের শরীফ ইসলাম (২২)।

 

গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।র‌্যাব জানায়, কুমিল্লা সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জালাল হোসেন (২২) ও তার চাচাতো ভাই মাসুদ রানা (১৬) মোবাইল ফোন কিনতে রোববার দুপুরে বাড়ি থেকে কুমিল্লা শহরে আসে। মোবাইল না কিনে তারা টমছমব্রিজ থেকে সিএনজিযোগে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় কোটবাড়ী সড়কে পৌঁছলে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র তাদের বহনকারী সিএনজির পথরোধ করে এবং মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তাদের সিএনজি থেকে নামিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাদের আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর এলাকায় চক্রের নারী সদস্য রিনা আক্তারের ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন চালায় এবং ৫০ হাজার টাকা করে দুজনের স্বজনদের কাছে বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের অপহরণ-মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি অপহূত মাসুদ রানার ভাই কাইয়ুম হোসেন র‌্যাবকে জানালে রাত ১০টার দিকে অপহূতদের উদ্ধারে অভিযানে মাঠে নামে র‌্যাব।

 

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, সোমবার ভোররাতে অপহূতদের উদ্ধার করে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় এবং চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারসহ তাদের কাছ থেকে দুটি চাকু, ১৩ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে কাইয়ুম হোসেন বাদী হয়ে গতকাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।