ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রসালো ফল লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে লিচু চাষিদের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং ঝড়-বৃষ্টি কম হওয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় বেচা-বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। বিজয়নগর উপজেলার লিচু মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে এই লিচুর সুনাম ও খ্যাতি।
এদিকে লিচু বাগানে প্রতিদিন শত শত মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসছে। এ যেনো এক উৎসবের আমেজ। কেউ আবার শখ করে লিচু বাগানে ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউ লিচু গাছ থেকে লিচু পাড়া নিয়ে ব্যস্ত।
জানা গেছে, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫১০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়নগর উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর, আখাউড়ায় ৯০ হেক্টর ও কসবা উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। বাকী ৬ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ করা হয়েছে।জেলার সুহিলপুর ইউপির বাসিন্দা কামরুজ্জামান খাঁন টিটু বলেন, প্রতি বছরই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে বাগানে ঘুরতে আসি। এবারো ফেইজবুকে ছবি দেখে ঢাকা থেকে বন্ধুরা আসছে ঘুরতে। তাদের সঙ্গে আবারো ঘুরতে আসা। বাগান থেকে লিচু পেরে খাওয়া ও কেনার মজাই আলাদা।
তিনি আরো বলেন, বিজয়নগর পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে আম, কাঁঠাল ও লিচুসহ বিভিন্ন ফলের বাগানের কারণে এখানের পরিবেশ যেনো এক অপরুপ সৌন্দর্য ফুটে তোলেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, লিচু বাজার ও বাগানে দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন যাতে সুন্দরভাবে লিচু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন সেদিকে পুলিশের মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মো. রবিউল হক মজুমদার বলেন, লিচুর ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কমপক্ষে ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করা হবে। আর ১০-১২ দিন বাজারে লিচু পাওয়া যাবে।