০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

জোয়ারে ভাসছে পানের বরজ

পিরোজপুরে করোনার প্রভাব কাটিয়ে না ওঠতেই ঘূর্ণিঝড় যশ এর প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পান চাষিরা।
জোয়ারের অস্বাভাবিক পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানের বরজ। যশের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার কয়েক হাজার বরজে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার পান। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের সরকারি সহযোগিতার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। পিরোজপুর জেলা কৃষি অধিদফতরের তথ্য মতে ভান্ডারিয়া উপজেলায় প্রায় ২২০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। পানের জন্য বিখ্যাত ভান্ডারিয়া উপজেলার উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর কোটি টাকার পান ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়। স্বাধ ভাল হওয়ায় বাজারে ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে এখানকার পানের।

ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউপির পানচাষি সনাতন মিস্ত্রি ও সুকন্যা ঘোষ জানান, চলতি মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে ৫০ হেক্টর জমির পানের বরজ এবং আংশিক পানি প্রবেশ করেছে ১০০ হেক্টর জমির পানের বরজে। ফলে পান গাছ মরে যাওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে ঋণের টাকায় গড়ে তোলা পানের বরজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ২ হাজার ২০০ পানচাষি। ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিদের সরকারি সহযোগিতা কথা জানিয়েছে ভান্ডারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ৫০ বছর ধরে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় পান চাষ হয়ে আসছে। সমায়ের সঙ্গে সঙ্গে এখানের পানের চাহিদা থাকায় ভান্ডারিয়ার কৃষকরা পান চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেন। এ বছর চলতি মৌসুমে উপজেলায় যশের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি ঢুকে ২ হাজার ২০০ পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিদের সহযোগিতা করা হবে

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

জোয়ারে ভাসছে পানের বরজ

প্রকাশিত : ১২:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

পিরোজপুরে করোনার প্রভাব কাটিয়ে না ওঠতেই ঘূর্ণিঝড় যশ এর প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পান চাষিরা।
জোয়ারের অস্বাভাবিক পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানের বরজ। যশের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার কয়েক হাজার বরজে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার পান। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের সরকারি সহযোগিতার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। পিরোজপুর জেলা কৃষি অধিদফতরের তথ্য মতে ভান্ডারিয়া উপজেলায় প্রায় ২২০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। পানের জন্য বিখ্যাত ভান্ডারিয়া উপজেলার উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর কোটি টাকার পান ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়। স্বাধ ভাল হওয়ায় বাজারে ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে এখানকার পানের।

ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউপির পানচাষি সনাতন মিস্ত্রি ও সুকন্যা ঘোষ জানান, চলতি মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে ৫০ হেক্টর জমির পানের বরজ এবং আংশিক পানি প্রবেশ করেছে ১০০ হেক্টর জমির পানের বরজে। ফলে পান গাছ মরে যাওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে ঋণের টাকায় গড়ে তোলা পানের বরজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ২ হাজার ২০০ পানচাষি। ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিদের সরকারি সহযোগিতা কথা জানিয়েছে ভান্ডারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ৫০ বছর ধরে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় পান চাষ হয়ে আসছে। সমায়ের সঙ্গে সঙ্গে এখানের পানের চাহিদা থাকায় ভান্ডারিয়ার কৃষকরা পান চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেন। এ বছর চলতি মৌসুমে উপজেলায় যশের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি ঢুকে ২ হাজার ২০০ পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিদের সহযোগিতা করা হবে