হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে হেফাজতের পিকেটিং এর পুলিশ এসল্ট মামলায় জলসুখা ইউনিয়নের জামায়েত ইসলামের আমির কাজী এমদাদুর রহমান(৫০)কে গ্রেফতার করেছে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ। ১লা জুন(মঙ্গলবার) বিকাল আনুমানিক ৪ টায় একটি বাল্য বিয়ে পড়ানোর অপরাধে মুচলেকা দিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) উত্তম কুমার দাশের ভ্রাম্যমাণ আদালতে আসে। এরপর ফেরার পথে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের সামন আসলে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) আবু হানিফের নেতৃত্বে এ এস আই মহসিন কবির থাকে আটক করে আজমিরীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন । আটক কাজী এমদাদুর রহমান জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের মাওলানা আব্দুল আহাদের ছেলে।
উল্লেখ্য গত ২৮ মার্চ বেলা ১২টায় হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের নোয়াগড় এলাকায় হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন তারা। একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি নুরুল ইসলামসহ আরও পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। একসময় হেফাজতের সমর্থকরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আবারও পুলিশের ওপর হামলা চালান। পুলিশ তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৩টি রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে হেফাজতের কর্মীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়।
এর প্রেক্ষিতে ২৯ মার্চ সকালে আজমিরীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত তালুকদার বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত চার শতাধিক হেফাজত সমর্থকদের আসামি করে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান-আজকে বিকালে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মহোদয় উত্তম কুমার দাশ ফোনে আমাকে জানান বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের ফোর্স পাটতে। আমি তখন ওসি (তদন্ত) আবু হানিফকে ফোর্স সহ পাটাই। এরপরে ফোনে জানতে পারি যে কাজী বিয়ে পরাচ্ছেন ওই কাজী এমদাদুর রহমান হেফাজতের পিকেটিং এর সময় মিছিলে ছিলেন। এবং উনি জলসুখা ইউনিয়নের জামায়েত ইসলামের আমির। এরপর উনাকে আঠক করে থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।