০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

হারিয়ে যাচ্ছে তাল গাছ

তাল গাছ নিয়ে রচিত হয়েছে বহু কবিতা-গান। সুমিষ্ট ফল দেয়া ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে মানুষকে। বর্তমান সরকার তাল গাছ রোপণের উপর জোর দিলেও এক শ্রেণির মানুষ কাটার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। নানা কারণ দেখিয়ে রাস্তার পাশের ও ব্যক্তি মালিকানাধীন তাল গাছ কেটে বিভিন্ন করাতকলে বিক্রি করছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন ও পরিবেশ রক্ষা ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার তাল গাছ রোপণ করছেন। অপরদিকে বিভিন্ন এলাকায় তালগাছ কাটছেন করাতকলের মালিক ও কাঠ ব্যবসায়ীরা। অনেকেই বিক্রি করছেন বিভিন্ন ইট ভাটায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাল ও নারিকেল গাছ দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য রক্ষা ও শোভাবর্ধনেও তাল ও নারিকেল গাছের জুড়ি মেলে না। একটা সময় বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পাশে সারি-সারি তাল গাছ শোভা পেতে দেখা গেছে। এখনও দু’একটা তাল গাছ গ্রাম-গঞ্জের ঝোপ-ঝাড়ে দেখা গেলেও তা রক্ষায় নেই তেমন কোনো উদ্যোগ। অতীতে অপরিচিত মানুষের বাড়ি, জমি, পুকুর, মাঠ, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন স্থান দেখানোর জন্য বলা হতো উচুঁ ওই তাল গাছটার পাশে। এমনকি সরকারি বা বেসরকারিভাবে নানাদিক নির্দেশনার ক্ষেত্রেও তাল গাছের সহায়তা নেয়া হত। তালের পিঠা, তালের গুড়, তালের রস, সব মানুষের খুব মজাদার খাবার। বিশেষ করে অতীত সময়গুলোতে গ্রাম-বাংলায় তালের পিঠা ছাড়া আত্মীয়তা কল্পনাই করা যেত না। এছাড়া তাল গাছের পাতা দিয়ে তৈরি হয় নানা রকমের হাত পাখাও। ক্রমশই তাল গাছ হারিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ পরিবারগুলোতে নেই সেই তালের পিঠার অস্তিত্ব। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক বলেন- যেভাবে তাল গাছ কাটা হচ্ছে, সেভাবে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে না। মাগুরায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাল ও নারিকেল গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে করাতকলে। সেখানে দে-দারছে ফাড়াই করা হচ্ছে তাল ও নারিকেল গাছ। আসবাবপত্রের উপকরণ তৈরি করছেন ও ইটভাটায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এ বছর সরকারি উদ্যোগে কিছু তাল বীজ রোপণ করা হবে বলেও আশা করছেন এ কর্মকর্তা।

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

হারিয়ে যাচ্ছে তাল গাছ

প্রকাশিত : ১২:৫০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

তাল গাছ নিয়ে রচিত হয়েছে বহু কবিতা-গান। সুমিষ্ট ফল দেয়া ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে মানুষকে। বর্তমান সরকার তাল গাছ রোপণের উপর জোর দিলেও এক শ্রেণির মানুষ কাটার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। নানা কারণ দেখিয়ে রাস্তার পাশের ও ব্যক্তি মালিকানাধীন তাল গাছ কেটে বিভিন্ন করাতকলে বিক্রি করছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন ও পরিবেশ রক্ষা ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার তাল গাছ রোপণ করছেন। অপরদিকে বিভিন্ন এলাকায় তালগাছ কাটছেন করাতকলের মালিক ও কাঠ ব্যবসায়ীরা। অনেকেই বিক্রি করছেন বিভিন্ন ইট ভাটায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাল ও নারিকেল গাছ দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য রক্ষা ও শোভাবর্ধনেও তাল ও নারিকেল গাছের জুড়ি মেলে না। একটা সময় বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পাশে সারি-সারি তাল গাছ শোভা পেতে দেখা গেছে। এখনও দু’একটা তাল গাছ গ্রাম-গঞ্জের ঝোপ-ঝাড়ে দেখা গেলেও তা রক্ষায় নেই তেমন কোনো উদ্যোগ। অতীতে অপরিচিত মানুষের বাড়ি, জমি, পুকুর, মাঠ, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন স্থান দেখানোর জন্য বলা হতো উচুঁ ওই তাল গাছটার পাশে। এমনকি সরকারি বা বেসরকারিভাবে নানাদিক নির্দেশনার ক্ষেত্রেও তাল গাছের সহায়তা নেয়া হত। তালের পিঠা, তালের গুড়, তালের রস, সব মানুষের খুব মজাদার খাবার। বিশেষ করে অতীত সময়গুলোতে গ্রাম-বাংলায় তালের পিঠা ছাড়া আত্মীয়তা কল্পনাই করা যেত না। এছাড়া তাল গাছের পাতা দিয়ে তৈরি হয় নানা রকমের হাত পাখাও। ক্রমশই তাল গাছ হারিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ পরিবারগুলোতে নেই সেই তালের পিঠার অস্তিত্ব। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক বলেন- যেভাবে তাল গাছ কাটা হচ্ছে, সেভাবে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে না। মাগুরায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাল ও নারিকেল গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে করাতকলে। সেখানে দে-দারছে ফাড়াই করা হচ্ছে তাল ও নারিকেল গাছ। আসবাবপত্রের উপকরণ তৈরি করছেন ও ইটভাটায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এ বছর সরকারি উদ্যোগে কিছু তাল বীজ রোপণ করা হবে বলেও আশা করছেন এ কর্মকর্তা।