০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

কাপাসিয়ার বারিষাবে প্রতিপক্ষের হামলায় সাবেক সেনা সদস্য গুরুতর জখম

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খাঁ গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে ঝগড়া ও কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ চাচাত ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামে সাবেক এক সেনা সদস্য গুরুতর জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ জুন (বুধবার) আনুমানিক বেলা ১১টার সময়। আহত জাহাঙ্গীর আলম মৃত মাওলানা এবিএম হেলালুদ্দীনের ছেলে। তাকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে উভয় পক্ষ কাপাসিয়া থানায় এজাহার দাখিল করেছে। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সাথে, এলাকাবাসীর সাথে এবং কাপাসিয়া থানায় কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
আহত জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই অধ্যাপক বদিউজ্জামান চাঁন মিয়া জানান, পূর্বে আমার চাচাত ভাইয়েরা আমাদের বাড়ি সংলগ্ন আমাদের জমির ভিতরে টিনের বেড়া দেয়। এখন আবার আমাদের জমির মধ্যে বাঁশের খুটি গেড়ে বেড়া দিয়ে উপরে টিনের চাল দিলে এ বিষয়ে কথা বললে ঝগড়ার সৃষ্টি হয় এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বেড়ার আড়াল থেকে বিদেশ ফেরত চাচাত ভাই জুয়েল মিয়া শাবল দিয়ে আঘাত করলে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর গুরুতর জখম হয়। অল্পের জন্য চোখ রক্ষা পায়। আঘাতের স্থানে ৮/৯ টি সেলাই দিতে হয়েছে।
হামলাকারী জুয়েল মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ছোট ভাই প্রভাষক শফিকুল ইসলাম অরুণ বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে গেছে। বিষয়টি আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার সুমন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত পক্ষের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি, মনোহরদী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আঘাতকারী পক্ষ আমাকে জানায়, প্রতিপক্ষ তাদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাংচুর করেছে এবং ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৩২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে । আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে এমন আলামত পাইনি এবং মহিলাদের সাথে কথা বলে এসবের সত্যতাও পাইনি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ঘটনাটি জানেন কিনা জানতে চাইলে বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউজ্জামান বাবলু মুঠোফোনে জানান,বিষয়টি জেনেছি। এটি দুঃখজনক। আহত জাহাঙ্গীর আলমকে ভালো ছেলে হিসেবে জানি। চাকরিকালীন সময়ে জাতিসংঘের শান্তি মিশেেন বিদেশ করেছে এবং কিছু সময় র্যাবফোর্সেও যুক্তছিলো। অপরাধী পক্ষ হয়ত: অর্থ অহমিকায় আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা মিমাংসার চেষ্টা করতে পারতাম। বড় বিষয় হলে আমাদের এখতিয়ারে থাকে না। বাদী পক্ষকে উপরের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
থানায় দাখিলকৃত ভিকটিম পক্ষের এজাহার থেকে জানা যায়, চরদ্র্লুভ খাঁ গ্রামের মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে জুয়েল মিয়া, আতিকুল ইসলাম সুরুজ মিয়া, শফিকুল ইসলাম অরুণ মিয়া, জুয়েলের স্ত্রী শরিফাকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে কথা বললে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, ৩ জুন সকালে চরদ্র্লুভ খাঁ গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকের ভাই বিষয়টি আমাকে অবগত করে থানায় এজাহার দাখিল করে। তাদের প্রতিপক্ষের এজাহার দাখিলের বিষয়টি আমি অবগত নই। অভিযোগ দাখিলের প্রেক্ষিতে ঐদিনই বিকেলে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তীতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

কাপাসিয়ার বারিষাবে প্রতিপক্ষের হামলায় সাবেক সেনা সদস্য গুরুতর জখম

প্রকাশিত : ১২:০২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খাঁ গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে ঝগড়া ও কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ চাচাত ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামে সাবেক এক সেনা সদস্য গুরুতর জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ জুন (বুধবার) আনুমানিক বেলা ১১টার সময়। আহত জাহাঙ্গীর আলম মৃত মাওলানা এবিএম হেলালুদ্দীনের ছেলে। তাকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে উভয় পক্ষ কাপাসিয়া থানায় এজাহার দাখিল করেছে। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সাথে, এলাকাবাসীর সাথে এবং কাপাসিয়া থানায় কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
আহত জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই অধ্যাপক বদিউজ্জামান চাঁন মিয়া জানান, পূর্বে আমার চাচাত ভাইয়েরা আমাদের বাড়ি সংলগ্ন আমাদের জমির ভিতরে টিনের বেড়া দেয়। এখন আবার আমাদের জমির মধ্যে বাঁশের খুটি গেড়ে বেড়া দিয়ে উপরে টিনের চাল দিলে এ বিষয়ে কথা বললে ঝগড়ার সৃষ্টি হয় এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বেড়ার আড়াল থেকে বিদেশ ফেরত চাচাত ভাই জুয়েল মিয়া শাবল দিয়ে আঘাত করলে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর গুরুতর জখম হয়। অল্পের জন্য চোখ রক্ষা পায়। আঘাতের স্থানে ৮/৯ টি সেলাই দিতে হয়েছে।
হামলাকারী জুয়েল মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ছোট ভাই প্রভাষক শফিকুল ইসলাম অরুণ বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে গেছে। বিষয়টি আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার সুমন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত পক্ষের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি, মনোহরদী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আঘাতকারী পক্ষ আমাকে জানায়, প্রতিপক্ষ তাদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাংচুর করেছে এবং ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৩২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে । আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে এমন আলামত পাইনি এবং মহিলাদের সাথে কথা বলে এসবের সত্যতাও পাইনি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ঘটনাটি জানেন কিনা জানতে চাইলে বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউজ্জামান বাবলু মুঠোফোনে জানান,বিষয়টি জেনেছি। এটি দুঃখজনক। আহত জাহাঙ্গীর আলমকে ভালো ছেলে হিসেবে জানি। চাকরিকালীন সময়ে জাতিসংঘের শান্তি মিশেেন বিদেশ করেছে এবং কিছু সময় র্যাবফোর্সেও যুক্তছিলো। অপরাধী পক্ষ হয়ত: অর্থ অহমিকায় আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা মিমাংসার চেষ্টা করতে পারতাম। বড় বিষয় হলে আমাদের এখতিয়ারে থাকে না। বাদী পক্ষকে উপরের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
থানায় দাখিলকৃত ভিকটিম পক্ষের এজাহার থেকে জানা যায়, চরদ্র্লুভ খাঁ গ্রামের মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে জুয়েল মিয়া, আতিকুল ইসলাম সুরুজ মিয়া, শফিকুল ইসলাম অরুণ মিয়া, জুয়েলের স্ত্রী শরিফাকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে কথা বললে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, ৩ জুন সকালে চরদ্র্লুভ খাঁ গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকের ভাই বিষয়টি আমাকে অবগত করে থানায় এজাহার দাখিল করে। তাদের প্রতিপক্ষের এজাহার দাখিলের বিষয়টি আমি অবগত নই। অভিযোগ দাখিলের প্রেক্ষিতে ঐদিনই বিকেলে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তীতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।