০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

করোনা রোধে কুষ্টিয়ায় চলছে ১০ দিনের বিধি নিষেধ

কুষ্টিয়া জেলায় জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (৬ জুন) রাত ১২টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
তবে সোমবার (৭ জুন) সকাল থেকে কুষ্টিয়া জেলার দোকানপাট-শপিংমল, রাস্তাঘাট, হাটবাজার থেকে শুরু করে কোথাও জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার কোনো চেষ্টাই দেখা যাচ্ছে না। অনেককেই মাস্ক ছাড়া রাস্তাঘাটে চলাচল করতে দেখা গেছে। জেলায় করোনা সংক্রমণের হার প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বমুখী হলেও নেই জেলা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা।
জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত জেলায় এ বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এ বিধিনিষেধ অনুযায়ী জেলায় দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। এছাড়া রাত ৮টার পর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোঁরা, কাঁচাবাজার, খুচরা ও পাইকারি বাজারসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। তবে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলো অনলাইনে অর্ডারের ভিত্তিতে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না।
এছাড়া সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। রাস্তা ও পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান সন্ধ্যা ৭টার পর বন্ধ রাখতে হবে।
আন্তঃ জেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহনে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। শিল্পকারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া করতে হবে।
এদিকে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সূত্র জানায়, রোববার জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। চলতি মাসের ছয় দিনে কুষ্টিয়ায় ৭৫১টি নমুনা পরীক্ষায় ২২৭ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশ।

জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২০৫ জন। এরমধ্যে সদর উপজেলাতেই রয়েছেন ৩ হাজার ১৫৭ জন। জেলায় করোনায় মারা গেছেন ১১৯ জন। এরমধ্যে সদরের ৬৯ জন রয়েছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ট্রমা সেন্টার না থাকায় দুর্ঘটনায় আহত অনেকেই মারা যান

করোনা রোধে কুষ্টিয়ায় চলছে ১০ দিনের বিধি নিষেধ

প্রকাশিত : ০৭:৪২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

কুষ্টিয়া জেলায় জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (৬ জুন) রাত ১২টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
তবে সোমবার (৭ জুন) সকাল থেকে কুষ্টিয়া জেলার দোকানপাট-শপিংমল, রাস্তাঘাট, হাটবাজার থেকে শুরু করে কোথাও জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার কোনো চেষ্টাই দেখা যাচ্ছে না। অনেককেই মাস্ক ছাড়া রাস্তাঘাটে চলাচল করতে দেখা গেছে। জেলায় করোনা সংক্রমণের হার প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বমুখী হলেও নেই জেলা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা।
জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত জেলায় এ বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এ বিধিনিষেধ অনুযায়ী জেলায় দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। এছাড়া রাত ৮টার পর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোঁরা, কাঁচাবাজার, খুচরা ও পাইকারি বাজারসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। তবে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলো অনলাইনে অর্ডারের ভিত্তিতে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না।
এছাড়া সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। রাস্তা ও পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান সন্ধ্যা ৭টার পর বন্ধ রাখতে হবে।
আন্তঃ জেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহনে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। শিল্পকারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া করতে হবে।
এদিকে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সূত্র জানায়, রোববার জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। চলতি মাসের ছয় দিনে কুষ্টিয়ায় ৭৫১টি নমুনা পরীক্ষায় ২২৭ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশ।

জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২০৫ জন। এরমধ্যে সদর উপজেলাতেই রয়েছেন ৩ হাজার ১৫৭ জন। জেলায় করোনায় মারা গেছেন ১১৯ জন। এরমধ্যে সদরের ৬৯ জন রয়েছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ