০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বাইপাস বন্ধ

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বায়েজিদ বোস্তামী-ফৌজদারহাট বাইপাস সড়ক। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর থেকে সড়কটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কটি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আগামী আগস্ট মাসের দিকে যান চলাচলের জন্য সড়কটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সড়কটি বন্ধ রাখতে সিডিএ ইতোমধ্যে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সিডিএ’র নির্মাণাধীন এই সড়কে ছোট-বড় মিলে ১৮টি পাহাড় রয়েছে। যেখানে পাঁচ থেকে ছয়টি পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কটির নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও চলাচলের সুবিধার্থে সড়কটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার যান চলাচল করছে। চট্টগ্রামে গত কয়েকদিনে টানা বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশংকা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সিডিএ। বেশ কিছুদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ইতোমধ্যে বিনোদন স্পট হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বোস্তামী-ফৌজদারহাট বাইপাস সড়ক। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রমনপ্রিয় মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে যায় এই বাইপাস সড়কে।

৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেন বিশিষ্ট এই বাইপাস সড়ক প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ বাড়িয়ে তা চলতি সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বাইপাস বন্ধ

প্রকাশিত : ১২:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বায়েজিদ বোস্তামী-ফৌজদারহাট বাইপাস সড়ক। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর থেকে সড়কটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কটি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আগামী আগস্ট মাসের দিকে যান চলাচলের জন্য সড়কটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সড়কটি বন্ধ রাখতে সিডিএ ইতোমধ্যে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সিডিএ’র নির্মাণাধীন এই সড়কে ছোট-বড় মিলে ১৮টি পাহাড় রয়েছে। যেখানে পাঁচ থেকে ছয়টি পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কটির নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও চলাচলের সুবিধার্থে সড়কটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার যান চলাচল করছে। চট্টগ্রামে গত কয়েকদিনে টানা বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশংকা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সিডিএ। বেশ কিছুদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ইতোমধ্যে বিনোদন স্পট হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বোস্তামী-ফৌজদারহাট বাইপাস সড়ক। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রমনপ্রিয় মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে যায় এই বাইপাস সড়কে।

৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেন বিশিষ্ট এই বাইপাস সড়ক প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ বাড়িয়ে তা চলতি সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।