গাজীপুরের পাঁচ উপজেলায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। তবে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি কাঁঠালের চাষ হয়। এ উপজেলার মানুষের অন্যতম লাভজনক অর্থকারী ফসল কাঁঠাল। শ্রীপুরের কাঁঠালের খ্যাতি দেশজুড়ে। এখানকার কাঁঠাল যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। গত বছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি বছরে এ মৌসুমে চাষীরা কাঁঠাল ব্যবসায়ীদের কাছে আগাম টাকা নিয়ে কাঁঠাল বিক্রি করেন।মঙ্গলবার সরেজমিনে যায় দেখা যায়, স্থানীয় বাজারে কাঁঠাল আসা শুরু হলেও চলমান লকডাউনের কারণে মিলছে না তেমন ক্রেতা। বাইরের ব্যবসায়ীরা তেমন না আসায় অনেক চাষী বাগানসহ কাঁঠাল বিক্রি করতে না পেরে শঙ্কিত। এবার অনেক এলাকায় লকডাউনের কারণে কাঁঠাল বিক্রি নিয়ে শঙ্কিত তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে কাঁঠাল বাগান করা হয়। উপজেলার বেশির ভাগ গ্রামে কাঁঠাল বাগান রয়েছে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি কাঁঠাল গাছ, আবার কারো কারো পুরো জমিতেই কাঁঠাল বাগান। গাছের গোড়া থেকে শুরু করে ডালপালায় ছড়িয়ে রয়েছে কাঁঠাল।
শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের বাগান মালিক ফাইজুদ্দিন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাগানে অনেক বেশি কাঁঠাল ধরেছে। তিনি প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ টাকার কাঁঠাল বাগান বিক্রি করেন। এ বছর কাঁঠাল বিক্রি করার মতো তেমন ব্যবসায়ীও খুঁজে পাচ্ছেন না। করোনা ভাইরাস আর জেলায় জেলায় লকডাউনের কারণে কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে বাগান মালিকরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর কাঁঠাল বাগানের দাম অনেক কম বলে জানান বাগান মালিকরা।
বদনী ভাঙ্গা গ্রামের কাঁঠাল ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন চৌক্কা জানান, করোনার কারণে তেমন কাঁঠাল ক্রয় করিনি। গত বছরের দামে কাঁঠাল কেনা সম্ভব নয়। এবার অনেক কম দামে কাঁঠাল কিনেছি। কিন্তু মিলছে না বাইরের ক্রেতা।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা এসএম মূয়ীদুল হাসান জানান, শ্রীপুরে প্রায় তিন হাজার হেক্টর কাঁঠাল বাগান রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে কাঁঠাল বাগান মালিকরা কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।