কুমিল্লায় জনপ্রিয় হচ্ছে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ। কুমিল্লার কয়েকটি উপজেলার মধ্যে দেবিদ্বারে পাঁচটি গ্রামে ড্রাগন চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেবিদ্বার উপজেলার ছেপাড়া গ্রাম। এখানে দুই বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করেন তরুণ উদ্যোক্তা আবুল ফয়েজ মুন্সী।
ওই এলাকায় তিনি প্রথম ড্রাগন ফলের চাষ করেন। ড্রাগনের বাগান দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন মানুষ। তিনি প্রাথমিক কিছু ফল বিক্রিও করেছেন। এখন কিছু গাছে ফল ধরেছে। কিছু গাছে ফুল এসেছে। ফলগুলো সপ্তাহের মধ্যে পরিপক্ক হবে।
ড্রাগন চাষি নাছিমা বেগম বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন, নাটোর থেকে মাত্র ১০টি চারা দিয়ে ড্রাগন চাষাবাদ শুরু করি। গত বছর মাত্র ২১ শতাংশ জমিতে বিক্রি হয়েছিল দুই লাখ টাকা। আর এ বছর ৮০ শতাংশ জমিতে ড্রাগনের চাষাবাদ করেছি। ড্রাগন চাষ করে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এ বছর আশা করছি ৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে। প্রতিদিন এলাকার অনেক কৌতুহলী মানুষ আসে বাগান দেখতে। অনেকেই চারা কিনছেন, চাষাবাদও করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন, ড্রাগন অনেক পুষ্টিকর ফল। এটাকে নিউট্রাল ফলও বলা হয়। সব শারীরিক সমস্যায় এই ফল খাওয়া যায়। কুমিল্লার মাটি এই ফল চাষের উপযোগী। বিশেষ করে যেখানে পানি জমে না সেখানে ড্রাগন চাষ করা যায়। দেবিদ্বার ছাড়া বড় পরিসরে চান্দিনা, বরুড়া, লালমাই ও সদর দক্ষিণে ড্রাগন চাষ হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় অল্প পরিসরে চাষ হচ্ছে।