১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

রাঙ্গাবালীতে সেতুর বেহাল দশা

সেতু ভেঙে একদিকে হেলে পড়েছে। কোনমতে জিআই তার দিয়ে সেতুর তিনটি অংশ বেঁধে রাখা হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে সেই তার ছিড়ে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবুও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আতঙ্কের মধ্যেও সেতু পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন দু’পাড়ের শত শত লোক। সেতুর একপাড়ে রাঙ্গাবালী, অন্যপাড়ে ছোটবাইশদিয়া। দু’পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বন্ধনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেই সেতুই এখন পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে ।
এমন চিত্র দেখা গেছে, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার পূর্ব বাহেরচর ও হরিদ্রখালী গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গহিনখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুতে । স্থানীয়রা জানান, অনেক আগেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে সেতুটি। কয়েক জায়গায় জিআই তারের ওপর ভর করে কোন মতে ঝুলে রয়েছে। যানবাহনতো দূরের কথা, পথচারী পারাপারেও কেঁপে ওঠে। তবুও কাছাকাছি বিকল্প পারাপারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকিনিয়ে চলাচল করছে যানবাহনসহ সাধারণ লোকজন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলজিএসপি থেকে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ।

জানা গেছে, নির্মাণের দুই বছরের মাথায় একটি ফিশিং বোটের ধাক্কায় সেতুর তিন অংশ ভেঙে যায়। এর পর থেকেই সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

 

গহিনখালী গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসাইন বলেন, ‘সেতুটি এমনেতেই অনেক উচুঁ। তারমধ্যে আবার এখন ভাঙা। প্রতিদিনি সেতু পারাপার হতে গিয়ে এক-দুইটা দুর্ঘটনা ঘটতেই আছে। তাই পরিকল্পিতভাবে এখানে জনস্বার্থে একটি সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।’ সেতু পারাপার হতে গিয়ে মটরসাইকেল চালক নিশাত মিয়া বলেন, ‘যাত্রী নামিয়ে একা গাড়ি চালিয়ে ব্রিজে (সেতু) উঠতে হয়। গাড়ি নিয়ে উঠলে থরথর করে কাঁপতে থাকে।’

ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল মান্নান বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে দ্রুত ওইখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।’ এ ব্যাপরে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘অনুর্ধ্ব এক শ’ মিটার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে ওই ব্রিজ (সেতু) অন্তর্ভুক্ত করণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’

ট্যাগ :

ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

রাঙ্গাবালীতে সেতুর বেহাল দশা

প্রকাশিত : ১২:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

সেতু ভেঙে একদিকে হেলে পড়েছে। কোনমতে জিআই তার দিয়ে সেতুর তিনটি অংশ বেঁধে রাখা হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে সেই তার ছিড়ে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবুও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আতঙ্কের মধ্যেও সেতু পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন দু’পাড়ের শত শত লোক। সেতুর একপাড়ে রাঙ্গাবালী, অন্যপাড়ে ছোটবাইশদিয়া। দু’পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বন্ধনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেই সেতুই এখন পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে ।
এমন চিত্র দেখা গেছে, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার পূর্ব বাহেরচর ও হরিদ্রখালী গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গহিনখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুতে । স্থানীয়রা জানান, অনেক আগেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে সেতুটি। কয়েক জায়গায় জিআই তারের ওপর ভর করে কোন মতে ঝুলে রয়েছে। যানবাহনতো দূরের কথা, পথচারী পারাপারেও কেঁপে ওঠে। তবুও কাছাকাছি বিকল্প পারাপারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকিনিয়ে চলাচল করছে যানবাহনসহ সাধারণ লোকজন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলজিএসপি থেকে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ।

জানা গেছে, নির্মাণের দুই বছরের মাথায় একটি ফিশিং বোটের ধাক্কায় সেতুর তিন অংশ ভেঙে যায়। এর পর থেকেই সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

 

গহিনখালী গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসাইন বলেন, ‘সেতুটি এমনেতেই অনেক উচুঁ। তারমধ্যে আবার এখন ভাঙা। প্রতিদিনি সেতু পারাপার হতে গিয়ে এক-দুইটা দুর্ঘটনা ঘটতেই আছে। তাই পরিকল্পিতভাবে এখানে জনস্বার্থে একটি সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।’ সেতু পারাপার হতে গিয়ে মটরসাইকেল চালক নিশাত মিয়া বলেন, ‘যাত্রী নামিয়ে একা গাড়ি চালিয়ে ব্রিজে (সেতু) উঠতে হয়। গাড়ি নিয়ে উঠলে থরথর করে কাঁপতে থাকে।’

ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল মান্নান বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে দ্রুত ওইখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।’ এ ব্যাপরে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘অনুর্ধ্ব এক শ’ মিটার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে ওই ব্রিজ (সেতু) অন্তর্ভুক্ত করণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’