১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

বাড়ছে পদ্মার পানি, রাজশাহীর নদীতীরবর্তী মানুষের মাঝে আতংক

পদ্মার পানি বাড়ার সাথে সাথে চারঘাট উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। উজান থেকে বেয়ে আসা পানি ও অসময়ের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে পদ্মা নদীর পানি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এতে উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকা গোপালপুর, পিরোজপুর, রাওথা,চন্দনশহর, ইউসুফপুর, টাঙ্গন এর মানুষেরা ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারছে না। বছরের পর বছর ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে টাঙ্গনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাওথার একটি মসজিদ ও নদীতীরবতী অসংখ্য বসত ঘরবাড়ি। নদী ভাংগনের কবলে পড়ে নদী তীরবতী এলাকায় অনেক মানুষ বাড়িঘর অসহায় সম্বল এমনকি ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। সর্বনাশা পদ্মার করাল গ্রাসে প্রতিবছর একটু একটু করে ভিটে মাটি হারিয়ে অনেকে হচ্ছে গৃহহীন ও ভুমিহীন। ভাঙ্গনের কবলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে হাজরাহাটির পুরো মৌজা, চন্দনশহরের অধিকাংশ এলাকা, রাওথা ও পিরোজপুর মৌজার অনেক এলাকা। এবছর পানি বৃদ্ধির ফলে নদী ভাঙ্গন প্রকট হলে উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষগুলো হুমকীর মুখে পড়বে বলে জানান চারঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওর্য়াড মেম্বার তজলুল হক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউসুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন ও রাওথা গ্রামের নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়ে গেছে। রাওথা চাটাইপাড়ার এলাকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দা ফকির মোহাম্মদ (৭০) ও মুনছার (৬০) বলেন আমরা চরম আতংকের মধ্যে আছি, কখন জানি নদীর পানির জোয়ারে কাচাঁবাধ ভেঙ্গে চাটাইপাড়া জামে মসজিদ ও আমাদের বসত বাড়ীঘর নদী গর্ভে চলে যায়। একই গ্রামের মনোয়ারা জানায় গত কয়েক বছর ধরে প্রতি বর্ষায় আমার বাড়ির জমির কয়েক ফুট করে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রাওথার দত্তপাড়া গ্রামের আব্দুস জামালের স্ত্রী মজিফা বলেন, আমাদের বাড়িটি নদীতীর হইতে মাত্র কয়েক ফুট দুরে অবস্থিত। বৃষ্টি ও উজানের পানিতে ইতি মধ্যে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। দ্রুত নদীর তীরে পাকাঁ বাধ না দিলে চলতি বর্ষায় আমাদের বাড়ি রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

উলে­খ্য যে, চারঘাট সীমানায় পদ্মার প্রায় ২০ কি:মি: দীর্ঘ তীরবর্তী এলাকা রয়েছে যার অধিকাংশ তীরবর্তী জায়গায় মানুষ বসবাস করে। এই তীরবর্তী এলাকার প্রায় ৮ কি:মি: নদী তীরবর্তী এলাকা বলক দিয়ে পাঁকা বাধ দেয়া আছে এবং বাকি তীরবর্তী এলাকা অরক্ষিত বা কাঁচাবাধ। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে বাধে ভাঙ্গন ধরলে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোডের সহায়তায় বালু ভর্তি জিওবি ব্যাগ ফেলে সাময়িকভাবে কাচাঁ বাধ রক্ষার জন্য চেষ্টা করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে বাধ রক্ষায় তা অকার্যকর।

ট্যাগ :

ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

বাড়ছে পদ্মার পানি, রাজশাহীর নদীতীরবর্তী মানুষের মাঝে আতংক

প্রকাশিত : ১২:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

পদ্মার পানি বাড়ার সাথে সাথে চারঘাট উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। উজান থেকে বেয়ে আসা পানি ও অসময়ের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে পদ্মা নদীর পানি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এতে উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকা গোপালপুর, পিরোজপুর, রাওথা,চন্দনশহর, ইউসুফপুর, টাঙ্গন এর মানুষেরা ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারছে না। বছরের পর বছর ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে টাঙ্গনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাওথার একটি মসজিদ ও নদীতীরবতী অসংখ্য বসত ঘরবাড়ি। নদী ভাংগনের কবলে পড়ে নদী তীরবতী এলাকায় অনেক মানুষ বাড়িঘর অসহায় সম্বল এমনকি ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। সর্বনাশা পদ্মার করাল গ্রাসে প্রতিবছর একটু একটু করে ভিটে মাটি হারিয়ে অনেকে হচ্ছে গৃহহীন ও ভুমিহীন। ভাঙ্গনের কবলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে হাজরাহাটির পুরো মৌজা, চন্দনশহরের অধিকাংশ এলাকা, রাওথা ও পিরোজপুর মৌজার অনেক এলাকা। এবছর পানি বৃদ্ধির ফলে নদী ভাঙ্গন প্রকট হলে উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষগুলো হুমকীর মুখে পড়বে বলে জানান চারঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওর্য়াড মেম্বার তজলুল হক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউসুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন ও রাওথা গ্রামের নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়ে গেছে। রাওথা চাটাইপাড়ার এলাকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দা ফকির মোহাম্মদ (৭০) ও মুনছার (৬০) বলেন আমরা চরম আতংকের মধ্যে আছি, কখন জানি নদীর পানির জোয়ারে কাচাঁবাধ ভেঙ্গে চাটাইপাড়া জামে মসজিদ ও আমাদের বসত বাড়ীঘর নদী গর্ভে চলে যায়। একই গ্রামের মনোয়ারা জানায় গত কয়েক বছর ধরে প্রতি বর্ষায় আমার বাড়ির জমির কয়েক ফুট করে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রাওথার দত্তপাড়া গ্রামের আব্দুস জামালের স্ত্রী মজিফা বলেন, আমাদের বাড়িটি নদীতীর হইতে মাত্র কয়েক ফুট দুরে অবস্থিত। বৃষ্টি ও উজানের পানিতে ইতি মধ্যে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। দ্রুত নদীর তীরে পাকাঁ বাধ না দিলে চলতি বর্ষায় আমাদের বাড়ি রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

উলে­খ্য যে, চারঘাট সীমানায় পদ্মার প্রায় ২০ কি:মি: দীর্ঘ তীরবর্তী এলাকা রয়েছে যার অধিকাংশ তীরবর্তী জায়গায় মানুষ বসবাস করে। এই তীরবর্তী এলাকার প্রায় ৮ কি:মি: নদী তীরবর্তী এলাকা বলক দিয়ে পাঁকা বাধ দেয়া আছে এবং বাকি তীরবর্তী এলাকা অরক্ষিত বা কাঁচাবাধ। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে বাধে ভাঙ্গন ধরলে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোডের সহায়তায় বালু ভর্তি জিওবি ব্যাগ ফেলে সাময়িকভাবে কাচাঁ বাধ রক্ষার জন্য চেষ্টা করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে বাধ রক্ষায় তা অকার্যকর।