দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও। এখানে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা । শহর জুড়ে করোনা শনাক্ত হচ্ছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশেরও বেশি।এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েই চলেছে রোগীর চাপ, সে সঙ্গে বাড়ছে প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদাও।
করোনায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি সাধারণ রোগীর চাহিদা অনুযায়ী প্যারাসিটামল জাতীয় কয়েকটি ওষুধ কম্পানির ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে জেলার ওষুধের দোকান ও ফার্মেসি গুলোতে।
চাহিদাপত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও ওষুধ না পেয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও স্বজনরা। চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ না পেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে রয়েছেন ওষুধ কোম্পানির এজেন্টদের দিকে।
পাঁচ বছরের ছেলের জ্বরের জন্য ওষুধ নিতে এসে না পেয়ে হতাশায় বাড়ি ফিরেন শহরের মইনুল ইসলাম। তার মতই প্রয়োজনীয় জ্বর সর্দির ওষুধ না পেয়ে দোকানের এক কোনায় চুপ করে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মাজেদুর নামের আরেক রোগীর স্বজনকে।
এ বিষয়ে ফার্মেসীর মালিকরা জানায়, আমাদের চাহিদার তুলনায় কোম্পানীগুলো আমাদের ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না। বিশেষ করে প্যারাসিটামল ওষুধের চাহিদা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ’প্যারাসিটামল’ গ্রুপের ওষুধ প্রথম সারির প্রায় সকল কোম্পানী সরবরাহ করছে না। ফলে এই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান জানান, কৃত্রিম সংকট তৈরী করে নির্ধারিত দামের চেয়ে অর্থাৎ এমআরপি’র বাইরে ওষুধ বিক্রি করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে দ-নীয় অপরাধ।
আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ওষুধের দোকানগুলোতে গোপনে তদারকি করবো। কোন ফার্মেসীতে এই ওষুধগুলোর কৃত্রিম সঙ্কট তৈরী করলে এবং বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেলে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।