১১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

কাজাখস্তান ছাড়ছে রুশ সেনারা

সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের দমাতে মোতায়েন রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএসটিও শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজাখস্তান ছাড়তে শুরু করবে বৃহস্পতিবার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কাশিম-জোমার্ট তোকায়েভ এই ঘোষণা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

ভিডিও কনফারেন্সে সরকার ও পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আগামী ‍দুই দিনের মধ্যে রুশ সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। তাদের দেশ ছাড়তে ১০ দিনের বেশি লাগবে না।’তিনি বলেন, ‘সিএসটিও শান্তিরক্ষী বাহিনীর মূল মিশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’

এর আগে গত সপ্তাহে কাজাখস্তানের বিক্ষোভকে ‘বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা’ বলে বর্ণনা করেছে কাজাখস্তান ও রাশিয়া। জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গত ২ জানুয়ারি বিক্ষোভ শুরু হয় কাজাখস্তানে। পরে আরও কিছু দাবি আন্দোলনে যুক্ত হয়। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় সহিংসতায়। বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী আসকার মামিন। এক পর্যায়ে দেশজুড়ে জারি হয় দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা।

এতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধদের। এমন পরিস্থিতিতে আলমাতি শহরে চালানো হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। উদ্ভূত পরিস্থিতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশের সামরিক জোট কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) সহায়তা চান কাজাখস্তান প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার নেতৃত্বে সেনা নামে দেশে। তারা জানায়, দেশের অবকাঠামো রক্ষায় যতদিন কাজাখস্তান সরকার চাইবে, ততদিন সে দেশে তাদের উপস্থিতি থাকবে।

বিক্ষোভকারীদের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী অ্যাখ্য দিয়ে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ। কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযানে মঙ্গলবার পর্যন্ত আটক হয়েছেন ১০ হাজারের মতো মানুষ। প্রাণহানি হয়েছে ১৬৪ জনের। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, সহিংসতার ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের মধ্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশিও রয়েছেন।

ট্যাগ :

দুদকের ২ উপপরিচালক বরখাস্ত

কাজাখস্তান ছাড়ছে রুশ সেনারা

প্রকাশিত : ১২:০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের দমাতে মোতায়েন রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএসটিও শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজাখস্তান ছাড়তে শুরু করবে বৃহস্পতিবার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কাশিম-জোমার্ট তোকায়েভ এই ঘোষণা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

ভিডিও কনফারেন্সে সরকার ও পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আগামী ‍দুই দিনের মধ্যে রুশ সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। তাদের দেশ ছাড়তে ১০ দিনের বেশি লাগবে না।’তিনি বলেন, ‘সিএসটিও শান্তিরক্ষী বাহিনীর মূল মিশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’

এর আগে গত সপ্তাহে কাজাখস্তানের বিক্ষোভকে ‘বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা’ বলে বর্ণনা করেছে কাজাখস্তান ও রাশিয়া। জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গত ২ জানুয়ারি বিক্ষোভ শুরু হয় কাজাখস্তানে। পরে আরও কিছু দাবি আন্দোলনে যুক্ত হয়। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় সহিংসতায়। বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী আসকার মামিন। এক পর্যায়ে দেশজুড়ে জারি হয় দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা।

এতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধদের। এমন পরিস্থিতিতে আলমাতি শহরে চালানো হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। উদ্ভূত পরিস্থিতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশের সামরিক জোট কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) সহায়তা চান কাজাখস্তান প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার নেতৃত্বে সেনা নামে দেশে। তারা জানায়, দেশের অবকাঠামো রক্ষায় যতদিন কাজাখস্তান সরকার চাইবে, ততদিন সে দেশে তাদের উপস্থিতি থাকবে।

বিক্ষোভকারীদের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী অ্যাখ্য দিয়ে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ। কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযানে মঙ্গলবার পর্যন্ত আটক হয়েছেন ১০ হাজারের মতো মানুষ। প্রাণহানি হয়েছে ১৬৪ জনের। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, সহিংসতার ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের মধ্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশিও রয়েছেন।