০৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মিয়ানমার

মিয়ানমারে চলমান জান্তাবিরোধী লড়াইয়ের তাণ্ডব বাড়ছে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও গণতন্ত্রপন্থি অস্ত্রধারী বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে। দেশটির তরুণ সমাজই গণতন্ত্রের এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সামরিক জান্তা ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মধ্যেই বেসামরিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর লড়াই পুরো মিয়ানমারেই ছড়িয়ে গেছে।

অ্যাকলেডের (সম্মুখ লড়াই পর্যবেক্ষণ প্রকল্প) সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তে এমনটাই জানা গেছে। অ্যাকলেড জানিয়েছে, লড়াইগুলোতে ঠিক কতজন মানুষ মারা গেছে তা জানাটা বেশ কঠিন। ধারণা করা হচ্ছে, গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তা দেশটির ক্ষমতা দখলের পর রাজনৈতিক সংঘাতে এ পর্যন্ত ১২ হাজার বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। এর মাঝে অধিকাংশ বেসামরিক মানুষ মারা গেছে যখন সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী বিরোধীদের দমন শুরু করে।

এখন মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, কারণ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক সংঘাতকে গৃহযুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত দেশটির সামরিক বাহিনীকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করার জন্য ‘শক্ত চাপ’ প্রয়োগ করা।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন বিপর্যয়কর এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। অস্ত্রধারী যে সংগঠনটি মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাদের নাম পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়েই এই মিলিশিয়া বাহিনী গঠিত। গত বছর ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী দেশটির বেসামরিক প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

সে সময় দেশটির তৎকালীন ডিফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চিসহ ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অনেক নেতাকে আটক করা হয়। তখনই গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। একসময় তা রূপ নেয় সশস্ত্র সংঘাতে।

ট্যাগ :

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আপিল বিভাগের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মিয়ানমার

প্রকাশিত : ১২:০০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মিয়ানমারে চলমান জান্তাবিরোধী লড়াইয়ের তাণ্ডব বাড়ছে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও গণতন্ত্রপন্থি অস্ত্রধারী বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে। দেশটির তরুণ সমাজই গণতন্ত্রের এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সামরিক জান্তা ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মধ্যেই বেসামরিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর লড়াই পুরো মিয়ানমারেই ছড়িয়ে গেছে।

অ্যাকলেডের (সম্মুখ লড়াই পর্যবেক্ষণ প্রকল্প) সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তে এমনটাই জানা গেছে। অ্যাকলেড জানিয়েছে, লড়াইগুলোতে ঠিক কতজন মানুষ মারা গেছে তা জানাটা বেশ কঠিন। ধারণা করা হচ্ছে, গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তা দেশটির ক্ষমতা দখলের পর রাজনৈতিক সংঘাতে এ পর্যন্ত ১২ হাজার বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। এর মাঝে অধিকাংশ বেসামরিক মানুষ মারা গেছে যখন সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী বিরোধীদের দমন শুরু করে।

এখন মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, কারণ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক সংঘাতকে গৃহযুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত দেশটির সামরিক বাহিনীকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করার জন্য ‘শক্ত চাপ’ প্রয়োগ করা।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন বিপর্যয়কর এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। অস্ত্রধারী যে সংগঠনটি মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাদের নাম পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়েই এই মিলিশিয়া বাহিনী গঠিত। গত বছর ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী দেশটির বেসামরিক প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

সে সময় দেশটির তৎকালীন ডিফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চিসহ ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অনেক নেতাকে আটক করা হয়। তখনই গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। একসময় তা রূপ নেয় সশস্ত্র সংঘাতে।