১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি ফের শুরু জাতিসংঘের আদালতে

মিয়ানমারে সংগঠিত রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি ফের জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে শুরু হতে যাচ্ছে। সোমবার আইসিজেতে এ মামলার গণশুনানি শুরু হবে। রোববার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জানা গেছে, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার ওপর চারদিন শুনানি চলবে। এর আগে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও জাতিগত নিধন চালানোর অভিযোগে আইসিজে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে, ধর্ষণ ও হত্যা করে জাতিগত নিধন অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তখন বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তারা এখনো তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারেনি। রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে হেগের আদালতে ২০১৯ সালের ১০-১২ ডিসেম্বর এই মামলার ওপর প্রথমবারের মতো প্রাথমিক শুনানি হয়। এতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। আর মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।

তবে তিনি কারাগারে থাকায় এইবার মামলার শুনানিতে অংশ নেবেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। ২০২০ সালে আইসিজেতে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দলিল দাখিল করে। সেখানে দেখানো হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কীভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ এনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এ মামলার বিচারের চ্যালেঞ্জ করেছে মিয়ানমারের জান্তা। এবারের গণশুনানি হবে মূলত মিয়ানমারের সেই আপত্তির ওপর।

ট্যাগ :

সাবেক মার্কিন বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি ফের শুরু জাতিসংঘের আদালতে

প্রকাশিত : ১২:০০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মিয়ানমারে সংগঠিত রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি ফের জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে শুরু হতে যাচ্ছে। সোমবার আইসিজেতে এ মামলার গণশুনানি শুরু হবে। রোববার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জানা গেছে, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার ওপর চারদিন শুনানি চলবে। এর আগে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও জাতিগত নিধন চালানোর অভিযোগে আইসিজে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে, ধর্ষণ ও হত্যা করে জাতিগত নিধন অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তখন বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তারা এখনো তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারেনি। রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে হেগের আদালতে ২০১৯ সালের ১০-১২ ডিসেম্বর এই মামলার ওপর প্রথমবারের মতো প্রাথমিক শুনানি হয়। এতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। আর মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।

তবে তিনি কারাগারে থাকায় এইবার মামলার শুনানিতে অংশ নেবেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। ২০২০ সালে আইসিজেতে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দলিল দাখিল করে। সেখানে দেখানো হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কীভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ এনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এ মামলার বিচারের চ্যালেঞ্জ করেছে মিয়ানমারের জান্তা। এবারের গণশুনানি হবে মূলত মিয়ানমারের সেই আপত্তির ওপর।