০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

বৃষ্টিতে ভিজলো বইমেলা

দুপুর থেকেই গুমোট বেধেছিল মেঘ। কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যায় দুপুরের সূর্য। বিকেল ৫টা বাজার আগেই নামলো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। ভিজে গেল বইমেলা। রোববার বৃষ্টির কাছে যেন আত্মসমর্পণ করতে হলো বইমেলাকে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে রাতে নামতে পারে ঝুম বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির ধারাবাহিকতা রাখতেই যেন দুপুরেও দেখা গেল বৃষ্টির চোখ রাঙানি। ধুলোহীন মাঠে বেশ ভালোই চলছিল মেলা। ক্রমেই ভিড় বাড়ছিল ক্রেতাদের। সবার হাত ভরা ছিল বই আর বইতে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাধ সাধলো ফাল্গুনের বৃষ্টি। প্রথমে টিপটিপ, তারপর টপটপ।

হালকা ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে মোটামুটি তুমুল বৃষ্টিতে পড়ে দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করলেন ক্রেতারা। স্টলকর্মীরা হন্তদন্ত হয়ে পলিথিন দিয়ে ঢাকলেন বই, যতটুকু পারা যায়। সময় মেলায় আগতরা মেলার আশ্রয়কেন্দ্রে স্থান নেন। অনেকেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মেলার মাঠ ছাড়েন, আবার কেউ কেউ বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই টইটই করে ঘুরে বেড়িয়েছেন বইমেলা। এমনই একজন পাঠক দীপিকা লিপি বলেন, ফাল্গুনের এমন বৃষ্টিতে ভিজতে তো যে কারওই ভালো লাগে। আর এখানে পরিবেশটাই বই নিয়ে। বলা যায় বৃষ্টি এ বইমেলাতে যেন আরও রাঙিয়ে দিল সৌন্দর্যের দিক থেকে।

তাই ভিজে ভিজে বইমেলা ঘুরতে বেশ ভালোই লাগছে। এদিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে থেকেই স্টল ও প্যাভেলিয়নগুলো নিজেদের সাধ্যমতো বই বাঁচাতে চেষ্টা করেছেন। ত্রিপল ও পলিথিন দিয়ে তারা ঢেকে রাখেন বই, স্টল। অনেকে আবার স্টল পুরোপুরি বন্ধও করেন। এসব বিষয়ে বেশ কিছু স্টলে কথা হলে তারা বলেন, আমরা বৃষ্টির জন্য আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি রেখেছিলাম। ত্রিপল ছিল, পলিথিন ছিল, আমরা স্টলের কর্মীদেরও আগে থেকেই সতর্ক করে রেখেছিলাম।

এদিকে আগামী সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে রোবাবার মেলার সময় আধাঘণ্টা কমানো হয়েছে। রোববার মেলা রাত ৯টার পরিবর্তে সাড়ে ৮টায় শেষ হয় এবং মেলায় প্রবেশের শেষ সময় ছিল রাত ৮টা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

স্বামীর কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত আপসহীন নেত্রী

বৃষ্টিতে ভিজলো বইমেলা

প্রকাশিত : ১২:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

দুপুর থেকেই গুমোট বেধেছিল মেঘ। কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যায় দুপুরের সূর্য। বিকেল ৫টা বাজার আগেই নামলো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। ভিজে গেল বইমেলা। রোববার বৃষ্টির কাছে যেন আত্মসমর্পণ করতে হলো বইমেলাকে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে রাতে নামতে পারে ঝুম বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির ধারাবাহিকতা রাখতেই যেন দুপুরেও দেখা গেল বৃষ্টির চোখ রাঙানি। ধুলোহীন মাঠে বেশ ভালোই চলছিল মেলা। ক্রমেই ভিড় বাড়ছিল ক্রেতাদের। সবার হাত ভরা ছিল বই আর বইতে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাধ সাধলো ফাল্গুনের বৃষ্টি। প্রথমে টিপটিপ, তারপর টপটপ।

হালকা ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে মোটামুটি তুমুল বৃষ্টিতে পড়ে দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করলেন ক্রেতারা। স্টলকর্মীরা হন্তদন্ত হয়ে পলিথিন দিয়ে ঢাকলেন বই, যতটুকু পারা যায়। সময় মেলায় আগতরা মেলার আশ্রয়কেন্দ্রে স্থান নেন। অনেকেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মেলার মাঠ ছাড়েন, আবার কেউ কেউ বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই টইটই করে ঘুরে বেড়িয়েছেন বইমেলা। এমনই একজন পাঠক দীপিকা লিপি বলেন, ফাল্গুনের এমন বৃষ্টিতে ভিজতে তো যে কারওই ভালো লাগে। আর এখানে পরিবেশটাই বই নিয়ে। বলা যায় বৃষ্টি এ বইমেলাতে যেন আরও রাঙিয়ে দিল সৌন্দর্যের দিক থেকে।

তাই ভিজে ভিজে বইমেলা ঘুরতে বেশ ভালোই লাগছে। এদিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে থেকেই স্টল ও প্যাভেলিয়নগুলো নিজেদের সাধ্যমতো বই বাঁচাতে চেষ্টা করেছেন। ত্রিপল ও পলিথিন দিয়ে তারা ঢেকে রাখেন বই, স্টল। অনেকে আবার স্টল পুরোপুরি বন্ধও করেন। এসব বিষয়ে বেশ কিছু স্টলে কথা হলে তারা বলেন, আমরা বৃষ্টির জন্য আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি রেখেছিলাম। ত্রিপল ছিল, পলিথিন ছিল, আমরা স্টলের কর্মীদেরও আগে থেকেই সতর্ক করে রেখেছিলাম।

এদিকে আগামী সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে রোবাবার মেলার সময় আধাঘণ্টা কমানো হয়েছে। রোববার মেলা রাত ৯টার পরিবর্তে সাড়ে ৮টায় শেষ হয় এবং মেলায় প্রবেশের শেষ সময় ছিল রাত ৮টা।