০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

আমরা আর কোনো আগ্রাসন সহ্য করব না: তালিবান

প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা করলে দেশটিতে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার তা সহ্য করবে না বলে জানিয়েছেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব। রোববার রাজধানী কাবুলে এক জনসভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তালেবানগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের স্মরণে আয়োজিত সেই জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ও প্রতিবেশী দেশ— উভয় থেকেই আমরা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি এবং কুনার প্রদেশের সাম্প্রতিক আগ্রাসন তার স্পষ্ট প্রমাণ।’‘এই হামলার কোনো পাল্টা জবাব আমরা দিইনি। জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা এটি সহ্য করেছি।’

‘কিন্ত পরবর্তীতে আমাদের ভূখণ্ডে কোনো প্রকার হামলা ও আগ্রাসন হলে তা আর সহ্য করা হবে না। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে বাইরের দেশের আগ্রাসন চলতে দিতে পারি না।’গত ১৬ এপ্রিল পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ২ আফগান প্রদেশ খোস্ত ও কুনারে হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। দুই প্রদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এএফপিকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার হামলায় খোস্ত ও কুনারের বিভিন্ন এলাকায় ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া খোস্ত ও কুনার প্রদেশে হামলায় অন্তত ২০ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আফগানিস্তান শাখার প্রধান। ১৬ এপ্রিলের হামলার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে আফগানিস্তানে নিয়োজিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। মন্ত্রণালয় থেকে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা নির্মূলের জন্য পরিচালিত হয়েছিল এ অভিযান। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, ‘পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভ্রাতৃতুল্য দেশ। উভয় দেশের সরকার ও জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের আঘাত সহ্য করে আসছে এবং এই আমাদের উভয়য়ের জন্যই গুরুতর সমস্যা।’‘পাকিস্তান মনে করে, এই অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ সমূলে উচ্ছেদ করতে হলে দুই দেশের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে গঠনমূলক উপায়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও আলোচনা হওয়া জরুরি; যদি তা শুরু হয়, তাহলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে।’

ট্যাগ :

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

আমরা আর কোনো আগ্রাসন সহ্য করব না: তালিবান

প্রকাশিত : ১২:০০:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা করলে দেশটিতে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার তা সহ্য করবে না বলে জানিয়েছেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব। রোববার রাজধানী কাবুলে এক জনসভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তালেবানগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের স্মরণে আয়োজিত সেই জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ও প্রতিবেশী দেশ— উভয় থেকেই আমরা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি এবং কুনার প্রদেশের সাম্প্রতিক আগ্রাসন তার স্পষ্ট প্রমাণ।’‘এই হামলার কোনো পাল্টা জবাব আমরা দিইনি। জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা এটি সহ্য করেছি।’

‘কিন্ত পরবর্তীতে আমাদের ভূখণ্ডে কোনো প্রকার হামলা ও আগ্রাসন হলে তা আর সহ্য করা হবে না। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে বাইরের দেশের আগ্রাসন চলতে দিতে পারি না।’গত ১৬ এপ্রিল পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ২ আফগান প্রদেশ খোস্ত ও কুনারে হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। দুই প্রদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এএফপিকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার হামলায় খোস্ত ও কুনারের বিভিন্ন এলাকায় ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া খোস্ত ও কুনার প্রদেশে হামলায় অন্তত ২০ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আফগানিস্তান শাখার প্রধান। ১৬ এপ্রিলের হামলার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে আফগানিস্তানে নিয়োজিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। মন্ত্রণালয় থেকে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা নির্মূলের জন্য পরিচালিত হয়েছিল এ অভিযান। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, ‘পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভ্রাতৃতুল্য দেশ। উভয় দেশের সরকার ও জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের আঘাত সহ্য করে আসছে এবং এই আমাদের উভয়য়ের জন্যই গুরুতর সমস্যা।’‘পাকিস্তান মনে করে, এই অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ সমূলে উচ্ছেদ করতে হলে দুই দেশের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে গঠনমূলক উপায়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও আলোচনা হওয়া জরুরি; যদি তা শুরু হয়, তাহলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে।’