০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬

কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৬৬

আফগানিস্তানের কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে একটি মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছে। আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। পবিত্র রমজান মাসে দেশটিতে সাধারণ মুসল্লিদের টার্গেট করে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটলো। তবে আফগান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শুক্রবারের বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত হয়েছে।

তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ডেপুটি মুখপাত্র বেসমুল্লাহ হাবিব জানান, কাবুলের খলিফা সাহিব মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

রমজানের শেষ শুক্রবার, জুমার দিন উপলক্ষে শত শত মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন নামাজে। সেসময় বিস্ফোরণের এ ঘটনা।

ওয়াহিদ নামে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক জানান, তিনি বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এরপর ছুটে যান মসজিদের দিকে। তার ভাই ছিল সেখানে। তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতেও সহযোগিতা করেন ওই যুবক। ওয়াহিদ বলেন, ভয়াবহ দৃশ্য দেখেন তিনি, আশপাশের সবাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং চিৎকার করছে।

মসজিদের প্রধান সাইদ ফাজিল আঘা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আত্মঘাতী কোনো হামলাকারী অংশ নিতে পারেন নামাজে। তিনি বলেন, আমি বেঁচে গেছি, কিন্তু স্বজন হারিয়েছি।

মসজিদের ভেতরে থাকা এক মুসল্লি রয়টার্সকে বলেন, নামাজের সময় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার পা ও হাত পুড়ে যায়।

স্বাস্থ্যকর্মীদের এক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৬৬টি মরদেহ এসেছে। আহত অবস্থায় এসেছেন ৭৮ জন।

এদিকে, এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

স্বামীর কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত আপসহীন নেত্রী

কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৬৬

প্রকাশিত : ১২:২০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

আফগানিস্তানের কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে একটি মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছে। আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। পবিত্র রমজান মাসে দেশটিতে সাধারণ মুসল্লিদের টার্গেট করে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটলো। তবে আফগান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শুক্রবারের বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত হয়েছে।

তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ডেপুটি মুখপাত্র বেসমুল্লাহ হাবিব জানান, কাবুলের খলিফা সাহিব মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

রমজানের শেষ শুক্রবার, জুমার দিন উপলক্ষে শত শত মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন নামাজে। সেসময় বিস্ফোরণের এ ঘটনা।

ওয়াহিদ নামে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক জানান, তিনি বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এরপর ছুটে যান মসজিদের দিকে। তার ভাই ছিল সেখানে। তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতেও সহযোগিতা করেন ওই যুবক। ওয়াহিদ বলেন, ভয়াবহ দৃশ্য দেখেন তিনি, আশপাশের সবাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং চিৎকার করছে।

মসজিদের প্রধান সাইদ ফাজিল আঘা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আত্মঘাতী কোনো হামলাকারী অংশ নিতে পারেন নামাজে। তিনি বলেন, আমি বেঁচে গেছি, কিন্তু স্বজন হারিয়েছি।

মসজিদের ভেতরে থাকা এক মুসল্লি রয়টার্সকে বলেন, নামাজের সময় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার পা ও হাত পুড়ে যায়।

স্বাস্থ্যকর্মীদের এক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৬৬টি মরদেহ এসেছে। আহত অবস্থায় এসেছেন ৭৮ জন।

এদিকে, এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর