১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্কুলে হিজাব পরার অনুমতি দিল ভারতের হাইকোর্ট

হিজাব পরে স্কুলে আসায় চার বছর বয়সী ফাহিমাকে স্কুল যেতে বারণ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ প্রতিবাদে গোলাঘাটের খ্রিষ্টজ্যোতি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন ফাহিমার মা। অবশেষে হিজাব পরার অনুমতি দেন গৌহাটি হাইকোর্ট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, দশম শ্রেণি পর্যন্ত ওই ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাস করতে পারবে। জানা গেছে, ছাত্রীটির বাবা সানামন একজন এ আর আসাম রাইফেলসের কর্মী। আর মা এলি আহমেদ। ২০১৩ সালের ২১ মার্চ ওই ক্যাথলিক স্কুলে নার্সারি শ্রেণির ক্লাস টিচার ফাহিমার হিজাব পরা নিয়ে আপত্তি তোলেন।

২৫ মার্চ মেয়েটির পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছাত্রীর জন্য পোশাকবিধি শিথিল করার আবেদন জানায়। কিন্তু ২৮ মার্চ অধ্যক্ষের তরফে নোটিস পাঠিয়ে জানানো হয়, ১৫ দিনের মধ্যে ফাহিমাকে হিজাব ত্যাগ করে স্কুলের পোশাকবিধি পালন করতে হবে। এ অবস্থায় ৮ এপ্রিল আদালতের দ্বারস্থ হন মেয়েটির মা। পরে মামলা করায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ফাহিমাকে হিজাব পরেই ক্লাসে আসার অনুমতি দেন। সম্প্রতি চূড়ান্ত শুনানিতে হাজির হন স্কুলের উপাধ্যক্ষ নিকোলাল কেরকেট্টা। তিনি আদালতকে জানান, মানবিকতার খাতিরে তারা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ফাহিমাকে হিজাব পরে স্কুল করার অনুমতি দিয়েছেন।

এ সময় স্কুলের ভূমিকার প্রশংসা করে আদালত জানতে চান, গত ৯ বছর যখন অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তখন একই স্কুলে আরও দুই বছর ফাহিমা পড়তে পারে কি না। তখন উপাধ্যক্ষ জানান, ফাহিমাকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার অনুমতি দেওয়া হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

স্কুলে হিজাব পরার অনুমতি দিল ভারতের হাইকোর্ট

প্রকাশিত : ১২:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

হিজাব পরে স্কুলে আসায় চার বছর বয়সী ফাহিমাকে স্কুল যেতে বারণ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ প্রতিবাদে গোলাঘাটের খ্রিষ্টজ্যোতি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন ফাহিমার মা। অবশেষে হিজাব পরার অনুমতি দেন গৌহাটি হাইকোর্ট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, দশম শ্রেণি পর্যন্ত ওই ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাস করতে পারবে। জানা গেছে, ছাত্রীটির বাবা সানামন একজন এ আর আসাম রাইফেলসের কর্মী। আর মা এলি আহমেদ। ২০১৩ সালের ২১ মার্চ ওই ক্যাথলিক স্কুলে নার্সারি শ্রেণির ক্লাস টিচার ফাহিমার হিজাব পরা নিয়ে আপত্তি তোলেন।

২৫ মার্চ মেয়েটির পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছাত্রীর জন্য পোশাকবিধি শিথিল করার আবেদন জানায়। কিন্তু ২৮ মার্চ অধ্যক্ষের তরফে নোটিস পাঠিয়ে জানানো হয়, ১৫ দিনের মধ্যে ফাহিমাকে হিজাব ত্যাগ করে স্কুলের পোশাকবিধি পালন করতে হবে। এ অবস্থায় ৮ এপ্রিল আদালতের দ্বারস্থ হন মেয়েটির মা। পরে মামলা করায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ফাহিমাকে হিজাব পরেই ক্লাসে আসার অনুমতি দেন। সম্প্রতি চূড়ান্ত শুনানিতে হাজির হন স্কুলের উপাধ্যক্ষ নিকোলাল কেরকেট্টা। তিনি আদালতকে জানান, মানবিকতার খাতিরে তারা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ফাহিমাকে হিজাব পরে স্কুল করার অনুমতি দিয়েছেন।

এ সময় স্কুলের ভূমিকার প্রশংসা করে আদালত জানতে চান, গত ৯ বছর যখন অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তখন একই স্কুলে আরও দুই বছর ফাহিমা পড়তে পারে কি না। তখন উপাধ্যক্ষ জানান, ফাহিমাকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার অনুমতি দেওয়া হবে।